টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। সাথে বেড়েছে পানিবন্দি এলাকায় জনদুর্ভোগ। এখনো প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোর পানি আগামী ৭২’ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। এতে ১৯৮৮, ৯৮ বা ২০০৭ সালের মতো বন্যা কবলিত হতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা। পানি বৃদ্ধির কারণে ঢাকার পূর্বাংশ, গোড়ান, বনশ্রী, বাসাবো, আফতাবনগর, সাঁতারকুলসহ ও ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও ডিএনডি বাঁধ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার স্থায়িত্ব হতে পারে দুই সপ্তাহের বেশি।
উজানের পানিতে জুন মাসের ২৬ তারিখ থেকে দেশে মৌসুমী বন্যা শুরু হয়, যা পরে বিস্তৃত হয় মধ্যাঞ্চলে। প্রথম দফার বন্যার উন্নতির তিন-চার দিনের মধ্যে ১০ জুলাই আবার বন্যা। এই বন্যার পানি না সরতেই উজানের ঢল ও দেশে ভারী বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দফা বন্যা শুরু হয়েছে।
তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মাসহ প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে চলতি সপ্তাহ জুড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রধান নদীগুলোর পানি মধ্যাঞ্চলে প্রবেশ করায় ঢাকার আশপাশের ধলেশ্বরী, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গাসহ ছয়টি নদীর পানি বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার আশপাশের ছয় নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ থেকে ছয় সেন্টিমিটার নিচে আছে। তবে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। এতে, বাঁধ না থাকায় রাজধানীর পূর্বাঞ্চল, বনশ্রী, বাসাবো, নাসিরাবাদ, ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হবে।
এই বিশেষজ্ঞের মতে, রাজধানীর পূর্বাঞ্চল রক্ষায় বাঁধ জরুরি। একই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য শক্তিশালী পাম্প স্থাপন, ড্রেন ও বক্স কালভার্ট পরিস্কার করতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার খালগুলো উদ্ধারের বিকল্প নেই।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ