দেশের বাজারে ব্রান্ডের লেভেলে লাগিয়ে নকল স্যানিটাইজার ও পিপিই সামগ্রীতে বাজার সয়লাব। তাতে দ্বিধাদন্দে পড়েছেন সাদারন ক্রেতারা। বুঝতে পারছেন নাহ কোনটা আসল কোনটা নকল। নামি কোম্পানির লেভেলে বিক্রি হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ। পণ্যের গায়ে লেখা ঠিকানায় পাওয়া যায়নি কারখানার অস্তিত্ব। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিটফোর্ড মার্কেট থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এসব পণ্য। বুঝে না বুঝে সেগুলোই কিনছেন ভোক্তারা।

চিকিৎসকরা বলছেন, মানহীন এসব পণ্য উল্টো করোনা ঝুঁকি বৃদ্ধি করবে। দেখতে হুবহু একই রকম। নামেও মিল প্রচলিত ব্রান্ডের সাথে। তবে ভালো করে দেখলে পার্থক্য বোঝা যাবে। ফার্মেসি থেকে ফুটপাথ সবখানেই মিলবে এমন নকল স্যানিটাইজার। করোনাকালীন অন্য সুরক্ষা সামগ্রীরও অভাব নেই। আসলের আদলে নকল এননাইনটিফাইভ মাস্ক। বুঝে না বুঝে সাধারণ মানুষও কিনছে তাই। কোনটিতে কোম্পানির নাম ঠিকানাই নেই। কোথাও লেখা মেইড ইন বাংলাদেশ। আবার নাম ঠিকানা থাকলেও বোঝা দায়। গুলশানে বিক্রি হওয়া এমন একটি ডেল্টা হ্যান্ড রাব।

লেভেলে লেখা ঠিকানায় গিয়ে মিললো না কোম্পানির অস্তিত্ব। বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী জানালেন এমন কোন কোম্পানির নামও শোনেননি। আশপাশের বাড়িতেও এমন কোন কোম্পানি নেই।বিক্রেতাদের তথ্য, অনুমোদনহীন এসব পণ্য মিটফোর্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। মাঝে মাঝে ভেজলা ও নকল বিরোধী অভিযান হলেও তা রোধ করা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানহীন এসব পণ্য করোনা থেকে রক্ষা দুরে থাক উল্টো বাড়াতে পারে সমস্যা।

মহামারি মোকাবেলায় এমন হেলাফেলা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য তাদের। স্বাস্থ্য বিভাগকে আরও সজাগ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে