দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ভয়াবহতা থেকে জানমাল রক্ষার্থে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের ১৯টি জেলার মোট ১৪ হাজার ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জনকে এখন পর্যন্ত সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

বুধবার (২০ মে) মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর ধারণক্ষমতা ৫৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৬০৭ জন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা হয়েছে। নিরাপদ আলো বা বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে