রাজধানীর বাবুবাজারে সোমেশ্বরী মেডিসিন মার্কেটের ৮টি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৫ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ ও নিম্নমানের মাস্ক জব্দ করেছে র্যাব। বুধবার রাতে অভিযান শেষে গোডাউনগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়। এ সময় নকল ওষুধ মজুদ ও সরবরাহের দায়ে ১ ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে আনা উন্নত মোড়কে এসব ভেজাল ওষুধ পাওয়া যায়। বিদেশি ওষুধের লেবেল দিয়ে এসব নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশেই। ওই অভিযানে নকল ওষুধ, নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দুটি গোডাউল সিলগালা করে দিয়েছিল র্যাব।
সিলগালার পরও তালা ভেঙ্গে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে বাবুবাজারের সোমেশ্বরী মেডিসিন মার্কেটে আবারো অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
অভিযানের বিষয়ে সারোয়ার আলম বলেন, এখানে যা হয়েছে তা দুঃখজনক। এখানে রয়েছে নকল ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ৫০ রকমের ওষুধ রয়েছে। এখানে রয়েছে টিটেনাস ভ্যাকসিন, যা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার কথা। এটি হয় নকল না হয় পাচার করে আনা হয়েছে। সবচেয়ে অসুবিধা হচ্ছে এটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখার কথা থাকলও তা রাখা হয়নি, ফলে এটি আর কাজ করবে না। এটি শরীরে ব্যবহার করা হলে কাজ তো করবেই না, বরং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে। প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা।
তিনি বলেন, এর সঙ্গে জড়িত ৭-৮ জনের একটি চক্র। এদের মধ্যে একজনকে আমরা আটক করেছি, বাকিদের আটকে চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হবে।
এসময় বাবুল নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। অভিযানে আটটি গোডাউন সিলগালা করে দেয় র্যাব। এ ধরণের ওষুধ সেবনে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন-উর-রশীদ।
এই মার্কেটের আট গোডাউন মালিক পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ