ঢাকা, বুধবারঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আকাশ-সংস্কৃতির হিংস্রযুগে দেশের মৌলিক সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে বাউল সংগীত। 
 
২০২০ সালের প্রথম দিন বুধবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্ব ভাকুমে মধুর মেলা প্রাঙ্গণে বার্ষিক মধুর মেলা ও মঞ্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। প্রয়াত আলহাজ্ব মধু বাউলের কন্যা মমতাজ বেগম এমপি’র সভাপতিত্বে  মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘লোকসংগীত, বাউলগান আমাদের শেকড়। এই সংগীত জীবন ও আত্মার কথা বলে। সব সংগীত মনকে পরিশুদ্ধ করে না, আমাদের সংস্কৃতির সাথেও যায় না। আকাশ-সংস্কৃতির হিংস্র থাবা আর আধুনিক নানা বাদ্যযন্ত্রের  দৌরাত্ম্যের মধ্যে দোতারা’র সংগীত যে এখনও টিকে আছে, সেটিই বাউলগানের বৈশিষ্ট্য।’
 
‘মমতাজ বেগমসহ বাউলশিল্পীরা যখন গান করেন, তখন তাদের সাথে শ্রোতাদের একটা মনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তারা মানুষের মনের কথা বলেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেইজন্যই শত শত বছর বাউলগান বেঁচে আছে, আরো হাজার বছর থাকবে। রবীন্দ্র সংগীতও একই কারণে শতবছর বেঁচে আছে।’ 
 
সংসদ সদস্য হবার পরও মমতাজ বেগম এখনও যে বাউল মেলা ও সারাদেশ থেকে বাউলদের নিয়ে এসে আয়োজন করছেন, বাউল কেন্দ্র স্থাপন করছেন, এজন্য তাকে মন্ত্রী তার নিজের ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
 
তথ্যমন্ত্রী এসময় সিঙ্গাইরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জাদুকরী উন্নয়নেরই ফসল। মধুর মেলা মঞ্চ উদ্বোধনের পর সেখানে একটি বৃক্ষচারা রোপণ করেন মন্ত্রী। 
 
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেলা রহমতুল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় রবিউল আলম ও শারমিন আক্তার,  মানিকগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ফৌজিয়া বেগম, নাট্যনির্দেশক দেবাশীষ দীপ, সাপ্তাহিক সময় এখন আমাদের পত্রিকার সম্পাদক কামরুজ্জামান হিমু প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে