বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে যাতায়াতে উড়োজাহাজের ভাড়া বেড়ে গেছে বেশ। বাড়তি টাকা গুনতে গিয়ে যাত্রীদের মাঝে কাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। একদিকে এই রুটে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ কিংবা কমে যাওয়া। অন্যদিকে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্টরা। এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব জানালেন, এব্যাপারে সরকারের করণীয় তেমন নেই। তবে এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে কথা বলে ভাড়া কমানোর চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। দেশে আসার সময় স্বল্প আয়ের এই প্রবাসীদের বেশ বড় অংকের অর্থ খরচ হয় উড়োজাহাজ ভাড়ায়। সেই ব্যয়ও যখন বেড়ে যায় তখন বিপাকে পড়েন শ্রমজীবীরা। তারা বলছেন, গত ৬ মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসাযাওয়ায় ভাড়ায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ কিংবা ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ও জেট এয়ারওয়েজ। আর ফ্লাই দুবাই ও ওমান এয়ারের ফ্লাইট চলছে কেবল সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে। এর ফলে চাপ বাড়ছে অন্য ফ্লাইটে। বাড়ছে ভাড়াও। একদিকে কমছে ফ্লাইট, অন্যদিকে বাড়ছে যাত্রী। গত এক বছরে ওমরা হজযাত্রীর সংখ্যাই বেড়েছে তিন থেকে চার গুণ। ট্রাভেল এজেন্টরা বলছেন, ফ্লাইট কমে যাওয়া ও ওমরা হজযাত্রী বেড়ে যাওয়ার কারণেও বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে উড়োজাহাজে যাতায়াতের ভাড়া।
সংকট দূর করতে সিভিল এভিয়েশন ও সংশ্টিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাইলেন ট্রাভেল এজেন্টরা। এব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব জানালেন, এয়ারলাইন্সগুলো চলে আইকাও এর গাইডলাইন অনুযায়ী। তারপরও এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে তারা আলোচনা করবেন, যেন টিকেটের দাম নিয়ে জটিলতা দূর হয়। নতুন আরো কিছু এয়ারলাইন্স মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাত্রী পরিবহন করতে শুরু করছে। তারা যুক্ত হলে সংকট কেটে যাবে বলেও জানান সচিব।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ