কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ “মনের গরল যাবে যখন, সুধাময় সব দেখবি তখন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া গ্রামে তিনদিনব্যাপী বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের স্মরণোৎসব-২০১৯ উদ্বোধন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে  আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মাহাবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, কুষ্টিয়া-০১ আসনের সাংসদ জনাব আঃকঃমঃ সরওয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-০৪ আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জজ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আসগর আলী, জজ কোর্টের বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী, বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. আক্তারুজ্জামান মাসুম, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব তাইজাল আলী খান, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিল্পব।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এনডিসি এবিএম আরিফুল ইসলাম এবং শুভেচ্ছা বক্তা ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আজাদ জাহান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক ইলাহী বলেন পৃথিবীতে এখন একটি সংকটময় মুহুর্ত চলছে। সেই সংকট থেকে উত্তোরণের ক্ষেত্রে লালন আমাদের পাথেয়। আমরা যদি মানুষ সহ পৃথিবীর সকল প্রাণীকূলকে সমভাবে ভালবাসতে পারি তাহলে এই লালন স্মরণোৎসব সার্থক হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহাবুব-উল-আলম হানিফ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ করতে হলে আমাদের লালনের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।

প্রধান আলোচক ড. রাশিদ আসকারী বলেন লালন, রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধু এক সূত্রে গাথা। একটি অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী তৈরি করতে হলে লালনের দর্শনের কোন বিকল্প নাই। উৎসব উপলক্ষ্যে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে এসেছেন বাউল ফকিররা। কালি নদীর পাড়ে বসেছে তিন দিনের মেলা। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে

প্রিতম মজুমদার
কুষ্টিয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে