ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সারাদেশ। এজন্য সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রঙিন বর্ণমালা আর আল্পনায় সাজানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা। এদিকে, একুশের প্রথম প্রহরেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি অব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই সাধারণ মানুষের ঢল নামবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা এলাকাকে নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি থাকছে র্যাব ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট। ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। যাদের রক্তে ও ত্যাগে বাংলা ভাষা আজ বাঙালির রাষ্ট্রীয় ভাষা, সেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি।
শহীদ বেদিসহ পুরো চত্ত্বরই রাঙানো হচ্ছে রক্তের লাল রঙে। শেষ হয়েছে আল্পনার কাজ। শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।
সন্ধ্যা থেকে পলাশী, নীলক্ষেত, শাহবাগ, চাঁনখারপুল এলাকার তল্লাশি চৌকি বসানো হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া কোন গাড়ি ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি কিছু সড়কে ডাইভারশন দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, শহীদ মিনার এলাকায় র্যাব-পুলিশের কয়েক স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি রাজধানী জুড়েও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ