দেশে প্রায় ২৭ লাখ বেকারের মধ্যে তরুণের সংখ্যাই ৮০ শতাংশ। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী এই তরুণদেরই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ধরা হয়। কর্মসংস্থানের এ চিত্রকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় উদ্বেগ হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ উদ্বেগ ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

রংপুরের আতিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে করেছের ২০১৬ সালে। অবশ্য তার চাকরির চেষ্টা শুরু স্মাতক পাশের পর থেকেই। আড়াই বছরে বেশ কয়েকটি ভাইভাও দিয়েছেন। কিন্তু মিলেনি চাকরি।

এদিকে, বছর খানেক ধরে চাকরির জন্য দৌড় ঝাপ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের সুমন শাহারিয়ার আর ফার্মেসি বিভাগের মোহনা। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় চাকরি হচ্ছে না তাদের। আতিক, সুমন ও মোহনার মত দেশে এখন উচ্চ শিক্ষা নিয়েও বেকার রয়েছেন প্রায় ১০ লাখ।

সরকারি হিসেব, কেউ সপ্তাহে মাত্র এক ঘন্টা কাজ করলেই তাকে কর্মজীবী ধরা হয়। সেই অনুযায়ী দেশে এখন ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তির মধ্যে বেকারের সংখ্যা ৪ দশমিক ২ ভাগ বা সাড়ে ২৬ লাখেরও বেশি। ২০১৬ সালে যা ছিলো ২৬ লাখের বেশি। আর ২০১৩ সালে বেকারের সংখ্যা ছিলো ২৫ লাখ ৮৭ হাজার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যূরোর হিসাব, দেশে মোট বেকারের মধ্যে প্রায় ২১ লাখ বা ৮০ ভাগই যুবক এবং যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে আবার ৯৬ ভাগ কোন না কোন পর্যায়ের শিক্ষত এবং ১৩ ভাগ উচ্চশিক্ষিত। তবে অশিক্ষিত বেকারের হার মাত্র চার ভাগ।

আবার, দেশের ৪ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ কর্মক্ষম হলেও তারা কোন কর্মে নিয়োজিত নেই। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২৫ ভাগের বেশি।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে