গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্মের সাঁওতালরা দুই বছর আগে উচ্ছেদ হয় তবে, তাদের পুনবার্সন হয়নি এখনো। আশপাশের এলাকায় কোনো রকমে ঝুপড়ি ঘর তুলে বাস করছে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার। এদিকে তাদের ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় হওয়া মামলারও তদন্ত শেষ হয়নি এখনো।

গোবিন্দগঞ্জে রংপুর সুগার মিলের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৮৪২ একর জমি পূর্ব-পুরুষের দাবি করে ২০১৩ সালে আন্দোলন শুরু করেন কিছু বাঙালি ও সাঁওতাল। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাগদা ফার্মে ঘর তোলে আড়াই হাজার পরিবার।ওই বছরের ৬ নভেম্বর মিল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে বাঁধে সংঘর্ষ। গুলিতে প্রাণ হারান ৩ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পোশাকে ঘরে আগুন দেয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।

উচ্ছেদের পর পাশের জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামে ঝুপড়ি ঘর তুলে বাস করছেন সাঁওতালরা। তাদের পুনর্বাসন নিয়ে নানা পর্যায়ে কথা হলেও দুই বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে গৃহহীনদের পুর্নবাসনে নানা উদ্যোগের কথা জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেয়ার ঘটনায় মামলা হয় কয়েকশজনের বিরুদ্ধে। তবে, তদন্ত শেষ হয়নি এখনো।

সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেয়ার ঘটনায় মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদসহ প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে