“৬৫বিঘা জমি চালাবাড়ি সহ সব নিয়ে গেছে নদী। নদী ভাঙ্গার দু:খ তো জানেন। কি যে দু:খ, কি যে ব্যথা যে মানুষ একশ বছর বাঁচবে বিশ বছরই তার কমে যায়”।

একসময় ঘর বাড়ি জমি সবই ছিল কৃষক আবুল হোসেনের। নদী ভাঙ্গন তাকে পরিনত করেছে ভূমিহীন কৃষকে। কুড়িগ্রামে তিস্তা এবং ধরলা ভাঙ্গনপ্রবন হিসেবে পরিচিত হলেও গত প্রায় তিন বছর যাবত দুধকুমার নদের ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারিয়েছে হাজার হাজার পরিবার। আকস্মিক এই ভাঙ্গনে হতবিহবল পরিবারগুলোর অনেকে এখন আশ্রয় নিয়েছেন যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিপাড়া গ্রামে। তাদের মধ্যে একজন আবুল হোসেন। একসময় অবস্থাপন্ন এই কৃষকের আশ্রয় এখন আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে। তিনি বলেন নদী ছিল তার বাড়ি থেকে অন্তত চার মাইল দুরে। “এরপর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আর হুঁশ নেই। বাঁশ ঘাস গাছ গাছালি সব নদী নিয়ে গেছে। অন্তত দু আড়াইশ বাড়ি ভাঙ্গছে”। নদীগর্ভে সব হারিয়ে এখন অন্যের জমিতে কাজ করেন আবুল হোসেন। কোনমতো একটা বাড়ি করেছেন অন্য জায়গায়। “সহায় সম্পদ এখন নাই। আল্লাহ চালায়। পাটসহ নানা কিছু আবাদ করেছি আগে আর এখন কিছুই নেই”। দু ছেলে এক মেয়ের জনক আবুল হোসেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “আল্লাহ দিছে আল্লাহ নিছে। জমা জমিন গেছে নদী, কি আর করা যাবে”।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে