থামছেই না মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া। জীবানযাত্রার ব্যয় মেটাতে দিশেহারা স্বল্প আয়ের মানুষ। এ অবস্থা চলতে থাকলে এসডিজি বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। এ জন্য সুশাসনের পাশাপাশি সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও দরকার বলে মনে করেন তারা। বাজারে গেলেই মধ্যবিত্তের হাহাকার যেনো নিত্যদিনের। প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে না পারার দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ থেকে হচ্ছে দীর্ঘতর। যার প্রভাব পরছে সংসার জীবনেও। জীবনযাত্রার ব্যয় মিটাতে না পেরে স্বল্প আয়ের মানুষ যেনো দিশেহারা। যাদের পুঁজি ছিলো তা ভেঙে, কিংবা অনেকেই জর্জরিত হচ্ছেন ঋণের কষাঘাতে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।সার্বিক মূল্যস্ফীতি যেখানে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক নয় দুই শতাংশে। তবে খরগোশের গতিতে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মজুরি বেড়েছে কচ্ছপের গতিতে। এতে সাধারণ মানুষের মজুরি গিলে ফেলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। একেই এসডিজি বাস্তাবায়নের পথে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের রাজস্বনীতি এবং মুদ্রানীতির সমন্বয়হীনতারই ফসল এই মূল্যস্ফিতি। তাই এখনই সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার পরামর্শ তাদের। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। যা শহরের তুলনায় দশমিক তিন পাঁচ শতাংশ বেশি।