এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২’বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জুলাই ও আগস্টের আকুপেমেন্ট শোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, এদিন গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। গত ৩০ আগস্ট যা ছিল ২৩ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পদ্ধতিতে এই হিসাব করা হয়েছে। আকুভুক্ত ৯ সদস্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আঞ্চলিক আমদানির ক্ষেত্রে এগুলোর আর্থিক লেনদেন কভার করে আকু পেমেন্ট গেটওয়ে। প্রতি দুই মাস অন্তর এই বিল পরিশোধ করা হয়। দেশে মার্কিন ডলারের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। ফলে গত অর্থবছরে আমদানি অর্থ পরিশোধ এবং লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার হার কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছে বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা। ১ বছর আগে যা ছিল ৯৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।
স্বাভাবিকভাবেই আমদানি কমেছে। কিন্তু সংকট মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভ কমছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি বিল নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। আগের অর্থবছর যা ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে সংকট পূরণে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেয় আইএমএফ। প্রথম কিস্তিতে ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। চলতি বছরের শেষদিকে আসতে পারে দ্বিতীয় কিস্তি। আইএমএফের ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বরে দেশের নিট রিজার্ভ হতে হবে ২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। আর আগামী ডিসেম্বরে হতে হবে ২৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু মাসের পর মাস তা কমে যাচ্ছে।