দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতে আগামী ১৫ বছরে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের এক্সন মবিলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর আগে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিদিদের সাথে সচিবালয়ে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সলারেট এনার্জি সমুদ্রে আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে। খুলনা ও উত্তরাঞ্চলের গ্যাস সরবরাহ হবে সেই টার্মিনালের মাধ্যমে। বর্তমানে দেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৭০ ভাগ বিনিয়োগই যুক্তরাষ্ট্রের। দেশে দৈনিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ৬৪ ভাগ উৎপাদন করছে যুক্তরাষ্টের শেভরন। বিদ্যুৎ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের জিই দেশের বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাস অনুসন্ধানে এক্সন মবিলসহ আরও একটি বড় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে। উৎপাদন বন্টন চুক্তির আধুনিকায়নের ফলে তারা আগ্রহী হচ্ছে। ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিস্পত্তির পর সাগরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের মালিকানা। পরে ভারত ও মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় গ্যাসের মজুদ কতটা আছে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। এ’বিষয়ে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনাগ্রহের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি এক্সন মবিল সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এক্সন মবিলের এই আগ্রহকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে জ্বালানি বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আগে জানিয়েছিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভাল বলেই যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগে আগ্রহী। এদিকে সাগরে দ্বিমাত্রিক জরিপ শেষ প্রায়। একদিকে আলোচনা আরেকদিকে জরিপের ফলাফল নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।