বিটিআরসি ও তিতাস গ্যাসের মোট ৮৫ কোটি আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না পদ্মা ব্যাংক। তারল্য সংকটে ভোগা ব্যাংকটি বলছে ২০২৬ সালের আগে টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব নয়। অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর হস্তক্ষেপ চায় সরকারি প্রতিষ্ঠান দুটি। ২০১৭ সালে পদ্মা ব্যাংকের ৫টি শাখায় মোট ৩৮ কোটি টাকার মেয়াদী আমানত রাখে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি। ওই বছর মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পরও অর্থ ফেরত দিতে পারিনি পদ্মা ব্যাংক। পরে ১২ কোটি টাকা আদায় হলেও এখনও পাওনা ২৫ কোটি টাকা। আদায় করা রাজস্ব ৬ মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার বিধান থাকলে ২০১৭ সালের ওই টাকা জমা দিতে পারছে না বিটিআরসি। তাই আমানত ফেরত চেয়ে পদ্মা ব্যাংককে ৪৮টি চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি।

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান বলেন, সুদসহ বিটিআরসির আমানত এখন ৩২ কোটি টাকা। তারল্য সঙ্কটে ২০২৬ সালের আগে অর্থ ফেরত সম্ভব হবে না। ১০ বছরের কিস্তির মাধ্যমে আমানত ফেরত দেয়া হবে। আরেক সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসও পদ্মা ব্যাংকের কাছে পাবে আমানতের ৫৩ কোটি টাকা। ফেরত দেয়ার কথা ২০১৮ সালে।

তিতাসের হিসাব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অপর্ণা ইসলাম জানান, অর্থ ফেরত না পাওয়ায় গ্যাস বিল দিতে সমস্যায় পড়ছে তিতাস। আমানত রাখার আগে ব্যাংক যাচাই করা দরকার। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের দায় আছে এমন মন্তব্য করে আইনজীবী অনীক আর হক বলেন বলেন, রাষ্ট্রের অর্থ উদ্ধারের বিষয়টি হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। আমানত ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সহযোগিতা চায় বিটিআরসি ও তিতাস গ্যাস।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে