জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জনাব সাকিব আল হাসান। মঙ্গলবার(২১’মার্চ) বিকালে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় ব্রান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব শফিউল আজিম, অলরাউন্ডার জনাব সাকিব আল হাসান, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে জনাব সাকিব আল হাসান বলাকায় আগমন করলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও সাকিবের সৌজন্যে একটি কেক কাটা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিমান নিয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শৈশবে খেলার মাঠে মাথার উপর দিয়ে বিমান উড়ে গেলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করতো। সাকিব বলেন, বিমান বর্তমানে লাভজনক অবস্থানে রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরো এগিয়ে যাবে। বিমানের অসংখ্য ভালো দিক রয়েছে যে গুলো সকলের সামনে তুলে ধরতে পারলে বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সাথে প্রতিযোগিতায় বিমানের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে সেফটি ইস্যুতে বিমান কখনো আপোষ করে না। এ ধরনের ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রচার হওয়া দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বিমানের প্রতি সহানুভূতিশীল।
বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে সর্বপ্রথম যে কাজগুলো করেন তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ বিমান অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা। তিনি বিমানের ব্র্যান্ডিং ও খেলাধুলা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সাকিব আল হাসান কে ধন্যবাদ জানান। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব শফিউল আজিম বলেন, সাকিব আল হাসান নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটে সুউচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তার কার্যক্রম আমাদেরকে অনুপ্রাণীত করে। আমরাও সততা, দক্ষতা ও উন্নত সেবার মাধ্যমে এভিয়েশন খাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে একযোগে কাজ করবো। জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর প্রতি ভালোবাসা থেকেই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্পোর্টসকে এগিয়ে নিতে বিমানের ভূমিকা অপরিসীম। স্বাধীন বাংলাদেশে খেলাধুলা খাতে প্রথম স্পন্সর প্রদানকারীর তালিকায় বিমান অগ্রগণ্য। ক্রিকেট, দাবা, টেবিল টেনিসসহ অসংখ্য খেলায় বিমান স্পন্সরশীপ প্রদানের মাধ্যমে পাশে থেকেছে। সাকিব আল হাসান একসময় বিমান ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক ৪জন সদস্য বর্তমানে বিমানে বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন। বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার জনাব নিয়াজ মোর্শেদ, ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানো জনাব জোবেরা রহমান লিনু একসময় বিমানের হয়ে খেলতেন। আইসিসি ট্রফি জয়ের সময়ও বিমান স্পন্সর করেছিল। আবারও দেশের খেলাধুলার অগ্রযাত্রায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।