ঢাকা শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২২: বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম, বিজয় এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের সমৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ১৯৩৯ সন থেকে সম্প্রচারে থাকা দেশের প্রাচীনতম গণমাধ্যম বেতারের সদর দপ্তর মিলনায়তনে এ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাল্যকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নিজগ্রাম ‘সুখ বিলাসে’ পাকবাহিনীর নির্বিচার গুলি, হত্যা ও নির্যাতন ও যুদ্ধশেষে বিজয়ের স্মৃতিচারণ করেন। উত্তাল সেই সময়ে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার জন্য তার গ্রামের মানুষের উৎসুক হয়ে অপেক্ষার কথা স্মরণ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘একদিন যে পাকিস্তানের শাসকরা বাঙালিকে তাচ্ছিল্য দেখিয়েছিল, সেই পাকিস্তানই আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আমরা সব সূচকে তাদের পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে গেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ভারতের গণমাধ্যমে এ নিয়ে ঝড় বয়ে গেছে কিন্তু দু:খের বিষয় আমাদের গণমাধ্যম এ নিয়ে তেমন সরব হয়নি। ড. হাছান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আমাদেরকে কৃষির মডেল হিসেবে বিশ্বে উপস্থাপন করে।পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ দেশ ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে। তারা একে বাঙালির সেতু মনে করেন। আর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হবে উপমহাদেশের প্রথম সড়ক টানেল।’ বেতারকে দেশের ঐতিহ্যবাহী গণমানুষের গণমাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে অন্য গণমাধ্যম পৌঁছাতে পারে না, সেখানে বেতার তরঙ্গ পৌঁছে যায়। সুতরাং বেতার মানুষের বন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বেতার বড় ভূমিকা রাখবে।’

ড. হাছান এ সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্য গণমাধ্যমগুলোতেও প্রচারের নির্দেশনা দেন। নতুন প্রজন্মের জন্য নিজ দেশের জন্ম ইতিহাস জানা জরুরি, বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বপালনরত খাদিজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও বেতারের সাবেক পরিচালক আশরাফুল আলম আলোচক হিসেবে এবং বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) নাসরুল্লাহ মো. ইরফান স্বাগত বক্তব্য দেন। সাংস্কৃতিক পর্বে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের সমবেত গান, শিমুল মোস্তফার আবৃত্তি, শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের নৃত্যের পাশাপাশি জনপ্রিয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে