আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম দামে বাংলাদেশকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল দিতে চায় রাশিয়া। রুশ প্রতিষ্ঠান রসনেফট প্রতি ব্যারেল ডিজেল ৫৯ ডলারে বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এ’জন্য বিপিসি চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা চালু করার তাগিদ বিশ্লেষকদের।
দেশের বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৬৫ থেকে ৭০ লাখ টন। এর মধ্যে একাধিক দেশ থেকে পরিশোধিত তেল আনা হয় প্রায় ৫০’লাখ টন। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের উত্থান-পতনে জ্বালানির আমদানিতে সরকারের খরচ ও ভর্তুকি বেড়েছে কয়েক গুণ। এই লোকসান কমাতে দেশের বাজারে এক লাফে জ্বালানির দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ ভাগ। তবে এখন সাশ্রয়ী দামে তেল কেনার উৎস খুঁজছে সরকার। গত মঙ্গলবার একনেক সভায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কীভাবে আমদানি করা যায়, সে উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির কাছ থেকে তেল আমদানি করা গেলে বিনিময় মুদ্রা কী হবে, তার সমাধানও বের করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, প্রতি ব্যারেল ডিজেল ৫৯ ডলারে বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রসনেফট। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে পরিশোধিত ডিজেলের দাম প্রায় ১৩৫ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত এই দরে ডিজেল সরবরাহ করতে রাজি আছে। তবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে পরিশোধনের বিষয় পর্যালোচনা করার তাগিদ বিশ্লেষকদের।
অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের মূল্য রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে পরিশোধ করতে হবে দেশগুলোকে। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে পর্যাপ্ত রুবল নেই। এই অবস্থায় রুবলের যোগান বাড়াতে রাশিয়ার সাথে বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা চালু এবং বাণিজ্য বাড়ানোর পরামর্শও দেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি। প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে দেখছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।