চড়া পণ্যের বাজারে যখন দেশের মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে লাভের আশায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সাত বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ করার পর গেলো এক বছরে লোকসান ৬’হাজার কোটি টাকা আর এতেই দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে বিপিসির। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছেন, লাভের বিশ হাজার কোটি টাকাই খরচ হয়েছে সরকারকে দিতে।

জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে সরকার ও বিপিসি। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে হাটে-বাজারেও এই দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ক্ষোভ জানাচ্ছেন মানুষ। প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদরাও। তার জবাব দিতেই দাম বাড়ানোর চর্তুর্থ দিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলনে এলেন বিপিসি চেয়ারম্যান। এ বি এম আজাদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৪ সাল থেকে গত সাত বছরে জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে সংস্থাটি। তবে গত বছর লোকসান গুণতে হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। সরকারকে দিতে হয়েছে লাভের ২০ হাজার কোটি টাকা। এখন তাদের হাতে আছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বলেও জানান তিনি। তবে গত ৮ দিনের গড় আমদানির দাম হিসাবে প্রতি লিটার অকটেনে সংস্থাটির মুনাফা হয়েছে ২৫ টাকা ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।

বিপিসি চেয়ারম্যান জনাব আজাদ আরো বলেন, বিপিসির কাছে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা থাকা প্রয়োজন। এজন্যই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। সংবাদ সম্মেলনে বিপিসির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। দাম বাড়িয়ে আগস্ট মাসে দুইশ কোটি টাকার বেশি লাভের আশা বিপিসির। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, দাম না বাড়িয়ে তেলের ওপর সব ধরনের কর কমিয়েই লোকসান কমানো যেতো।এদিকে, দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে ঢাকায় বিপিসির কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে