ত্বীন ফল মূলত মরুভূমির মিষ্টি ফল। এ ফলের স্বাদ হালকা মিষ্টি ও দেখতে কিছুটা ডুমুর ফলের সদৃশ।বাংলাদেশে ত্বীন ফল ড্রাই ফুড হিসেবে আমদানি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ও ব্যক্তি উদ্যোগে দেশের আনাচে কানাচে এ ফলের চাষ শুরু হওয়ায় দেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।ত্বীন ফল মরুভূমিতে আবাদ হলেও গত এক দশকের বেশি সময় থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ফসলের চাষ শুরু হয়েছে। ডুমুর জাতীয় এ ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম Ficus Carica ও পরিবারের নাম”moraceceae”।বাংলাদেশের কয়েকটি বিভাগ যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, ও রংপুরের বিভিন্ন জেলায় এ ত্বীন ফলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে।

মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কুরআনে বিভিন্ন ফল, মূল ও ফসলের বর্ণনা রয়েছে। যা মানব জাতির জন্যে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নেয়ামত ও জীবন নির্বাহের অন্যতম পাথেয়। ত্বীন ফলের নামে আল কুরআনে ত্রিশতম অনুচ্ছেদে ‘ত্বীন’ নামে একটি সূরার নামকরণ করা হয়েছে। সূরার শুরুতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, “ত্বীন এবং যাইতুনের শপথ। সিনাই নামক পর্বতের শপথ। নিরাপদ শহরের শপথ। নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) মানুষকে সুন্দরতম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমি তাকে হীনতাগ্রস্তের হীনতমে পরিণত করি। তবে যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্মপরায়ণ, তারা ব্যতিত। ইমানদারদের জন্যে রয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন পুরস্কার। সতুরাং এরপর কি সে কর্মফলে অবিশ্বাস করে?। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?।” মহা পবিত্র আল কুরাআন মানব জাতীর জন্যে একটি পথপ্রদর্শক। এ ঐশীবাণীর প্রতিটি আয়াত ও শব্দের স্বতন্ত্র ব্যাখ্যা রয়েছে। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ মানব জাতির জন্যে বিভিন্ন বার্তা ও নিদর্শন রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমে নানা জাতির উদাহরণ টেনেছেন, যাতে মানব জাতির জন্যে শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। এছাড়াও এ গ্রন্থের মাধ্যমে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন সুচারুরূপে পরিচালনা করতে পারে।

ত্বীন ফল নানান দেশে নানা নামে পরিচিত ও পর্যায়ক্রমে গাছ থেকে ফল দেয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ত্বীন ফলের গাছ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে ফল দেয়ার হারও বৃদ্ধি পায়। কৃষিবিদদের মতে,ত্বীন ফলের গাছে প্রথম বছরে ফল দেয়ার হার ১ কেজি, ২য় বছরে ৭ কেজি, ৩য় বছরে ২৫ কেজি।এভাবে ক্রমবর্ধমান হারে ৩৪ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। ত্বীন ফলের গাছের আয়ু সাধারণত প্রায় ১০০ (একশত) বছর। তবে অবস্থা ও জাত ভেদে এ পরিসংখ্যানের তারতম্য হয়। বাংলাদেশে এ ফলটি ত্বীন নামে পরিচিত হলেও বিশে^র অন্যান্য দেশ যথাক্রমে মিশর, তুরস্ক, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং জর্দানে
আঞ্জির নামে পরিচিত।

ঢাকার গাজীপুরেও ত্বীন ফলের চাষ করা হয়। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বারতোপা গ্রামে ‘মডার্ণ এগ্রো ফার্ম এন্ড নিউট্রিশন’ নামের একটি ফার্মে ত্বীন ফলের চাষ করা হয়। এ ফার্মটির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আজম তালুকদার ২০১৪ ও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে থাইল্যান্ড থেকে জীবন্ত গাছ নিয়ে আসেন। এছাড়াও তিনি তুরস্ক থেকে গাছের কাটিং সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রোপাগেশন সেন্টারে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আদ্রতা বজায় রেখে বারতোপা নামক স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ত্বীন চারার গাছ উৎপাদন শুরু করেন। এ ফার্মটি আয়তনের দিক থেকে দেশের বৃহৎ ত্বীন এগ্রো ফার্ম হিসেবে অবিহিত। এখানে প্রায় ০৭ (সাত) বিঘা জমি জুড়ে ত্বীন ফলের চাষ করা হয়।এ ফার্ম থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সবচেয়ে বেশি ত্বীন চারা গাছ ও ফল বিক্রি করা হয়। শ্রীপুরের এ ফার্ম থেকে উদ্যোক্তা ও ত্বীনচাষী চারা গাছ তাদের ফার্মের জন্যে নিয়ে যান। ফার্মের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ভাষ্য মতে, এ ফার্ম থেকে প্রতি দিন প্রায় ১৫ থেকে ১৬ কেজি পর্যন্ত ত্বীন ফল বিক্রি করা হয়।

রংপুর বিভাগেও ত্বীন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে পুন্ড্র জনপদ নামে সমধিক পরিচিত ছিল। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে এ অঞ্চলটি অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মতই অনেক সমৃদ্ধ। রংপুর বিভাগকে কিছু পরিসংখ্যানে পিছিয়ে পড়া বিভাগের সাথে তুলনা করলেও ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষিজ ফসল উৎপাদনে দেশের অর্থনীতি এ বিভাগ অনেক অবদান রাখছে। এ অঞ্চলের মাটি বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের জন্যে অনেক উর্বর। বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অবদান কোন অংশে কম নয়। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুরসহ অবশিষ্ট ছয়টি জেলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক অবদান রাখছে। শুধু দেশীয় বীজ বপন করেই কৃষক ক্ষান্ত নন, বিদেশি বিভিন্ন ফসলের আবাদ এ অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ত্বীন ফলের আবাদ করা অত্র অঞ্চলেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা শাল্টি গোপালপুরের চৌপথী বাজার সংলগ্ন ত্বীন ফলের এ বাগানটি অবস্থিত। মূলত মিঠাপুকুর-ফুলবাড়িয়া মহাসড়কের মাঝে মুসলিম বাজার থেকে ২০০ (দুইশত) গজ পশ্চিমে ত্বীন এগ্রো ফার্মটি দৃশ্যমান হবে। এ বাগানের জন্যে ত্বীন ফলের চারা গাছ ঢাকার গাজীপুর থেকে আনা হয়েছিল। এ এগ্রো ফার্মটি প্রায় তেত্রিশ শতক/এক বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় তিনশতের অধিক গাছ এখানে রয়েছে।

খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ত্বীন ফলের চাষ করা হয়। সাতক্ষীরায় ছাদবাগানেও ত্বীন ফলের আবাদ হয়। সাতক্ষীরা শহরের কাটিস সরকার পাড়ায় একটি ফার্ম রয়েছে। ত্বীনচাষী মোঃ আসিফুর রহমান তাঁর বাগানে হাতে খড়ি করেন মিসরের এক বন্ধু থেকে ত্বীন গাছ এনে। এছাড়াও চট্টগ্রাম, যশোর, রাজশাহী, বগুড়া, ও ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ত্বীন ফলের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

প্রতিটি ত্বীন ফলের বাগানে ত্বীন ফল চাষী সাধারণত দুই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রথমত, চারা গাছ বিক্রি করে। দ্বিতীয়ত, ত্বীন ফল বিক্রি করে। সাধারণত ত্বীন গাছ নির্দিষ্ট পরিমাণ বড় হলে ফল দেয়। পরবর্তীতে ফল দেয়া শেষ হলে গাছ ছাঁটাই করে ফেলা হয়। অধিকাংশ ত্বীন ফল চাষী বাগানে ফল আবাদের পাশাপাশি ত্বীন ফলের গাছ থেকে গুটি কলম করেন। পরবর্তীতে এখানেই গাছের কলপ দিয়ে চারা গাছের সংখ্যা বাড়ানো হয়। প্রতিটি চারা গাছের দাম তার আকার ও ক্রয়ের পরিমাণের উপর নির্ধারিত হয়। প্রতি কেজি পাকা ত্বীন ফলের দাম সহ¯্র টাকার বেশি হয়ে থাকে। উভয় ক্ষেত্রে পাইকারী এবং গাছের পরিমাণ বাড়ানোর উপর দামের পার্থক্য সূচিত হয়।

সাধারণত গুটি কলম থেকে ত্বীন ফলের চারা গাছ উৎপাদন করা হয়। মূল গাছ থেকে গুটি কলম তৈরি করা হয়। গুটি কলমের পর তিন মাস সময় অতিক্রম হলে ফল দেয়া শুরু হয়। অঞ্চলভেদে ত্বীন চারা গাছের দাম পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। রংপুরে একটি ত্বীন গাছের দাম ৫০০/- থেকে ৬০০/- টাকা মাত্র। আর কেউ যদি বাগান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে তাহলে প্রতিটি ত্বীন ফলের গাছের দাম ৩০০/-থেকে ৩৫০/- টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে গাজীপুরের ফার্মে দুই মাস বয়সী চারা গাছ পাইকারী ৫২০/-থেকে ৭২০/- টাকা পর্যন্ত। ত্বীন গাছে ফল ধরার এক সপ্তাহের মধ্যে তা খাওয়ার উপযোগী হয়। একটা ফলের ওজন সাধারণত ১০০ (একশত) গ্রাম হয়। অন্যদিকে একটি গাছে এক রাউন্ডে ৫ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন হয়। প্রতিটি গাছে বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে সত্তর থেকে আশিটি ফল ধরে। প্রায় বছর ব্যাপী নির্দিষ্ট সময় পর পর ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ ৬ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। আবার কারো কারো মতে, ত্বীন ফলের জাত অনুযায়ী ৮-১০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে এ ফল পাকতে শুরু করে। ত্বীন ফল পাকতে শুরু করলে ফলের রং ক্রমান্বয়ে লাল, খয়েরি, গোলাপী ও হলুদ রংয়ের আকার ধারণ করে। পরিপূর্ণ পাকলে তা রসে ঠাসা ও মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয়। সাধারণত গাছে ত্বীন ফলটি পাকলে বেশি দিন রাখা যায় না। গাছ থেকে তাজা তাজা সংগ্রহ করে তা খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। সে জন্যে গাছে পাকলে চাষী তা সংরক্ষণের উদগ্রীব হয়ে উঠে এবং বাজারজাত করে।

সাধারণত উঁচু মাটিতে, বাড়ির আঙ্গিনায় এবং ইমারতের ছাদে ত্বীন ফল চাষ করা যায়। অনেকে শখের বষে এবং এ ফল সম্পর্কে আসমানী কিতাবে বর্ণিত হওয়ায় ত্বীন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। এ ফল গাছটি চাষ করার জন্যে মাটিতে জৈব ও কমপোস্ট সার মিশিনো হয়। রোদ পড়ে এমন স্থানে এ ফল চাষ করা ভালো। গাছের পরিচর্যা হিসেবে সপ্তাহে ২ দিন স্প্রে করা হয়। গাছে গোবর, সার ও পরিমিত পানি দিতে হয়। মাঝেমাঝে কৃষিবিদদের পরামর্শক্রমে কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা ভালো। ফার্মের উপর আলাদা নেট বা জাল ব্যবহার করা হয় যাতে পশুপাখি থেকে গাছ ও ফলকে রক্ষা করা যায়। গাছে কোন শুকনা পাতা ও ঢাল থাকলে, তা কেটে ফেলে দিতে হয়। বাসার ছাদে রোদ পড়ে এমন স্থানে ত্বীন ফল উৎপাদন করা যায়। বছরব্যাপী এ ফল উৎপাদন করা গেলেও শীত ও বর্ষা মৌসুমে এর ফলন কিছুটা কম হয়। গ্রীষ্মকালে ত্বীন ফলের ফলন সবচেয়ে বেশি হয়।

ত্বীন ফলের অনেক উপকার ও গুণাগুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ফল রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে এ ফল খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম রয়েছে। পুষ্টির চাহিদা পূরণে এর ভূমিকা কোন অংশে কম নয়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, ত্বীন একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল, যা মরু অঞ্চলে অনায়াসে জন্মালেও বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটির সাথে বর্তমানে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ৩৪% নারী যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে, তা কমাতে এ ত্বীন ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া এ ফলের অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে।

রংপুরের ত্বীন ফল বাগানে একাধিক বার ভ্রমণ করে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এ পাকা ফলটি বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। এমতাবস্থায় এ পাকা ফল প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে শুকনা করে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। পাকা তীন ফলটি ড্রাই বা শুকনো করে দেশে বাজারজাত করলে শুকরো ত্বীন ফলের আমদানী কম করা লাগবে। যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ এখনও শুকনো ত্বীন ফলের জন্যে মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় পাকা ফলের পচন রোধ করার পাশাপাশি শুকনো ত্বীন ফলের উপর দৃষ্টিপাত করলে দেশীয় বাজার সৃষ্টি হবে।

শুধু ত্বীন ফল নয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরনের বিদেশি ফল ও ফসলের আবাদ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া এ অঞ্চলে কৃষিবিদ, গবেষক ও সায়েন্টিফিক অফিসারের সংখ্যাও বাড়ছে।সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের আরো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশীয় ও বিদেশী ফসলাদির আবাদ বৃদ্ধি পাবে।বাংলাদেশের বিভিন্নি জনপদে কৃষি ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ অঞ্চলে মাটির বৈশিষ্ট্য এতই ভালো যে, যে কোন ধরনের ফসলের চাষ করা যায়। একসময় পর্যটকদের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হিসেবে খ্যাত এ অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে আশার আলো নিয়ে এসেছে। যা দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে ব্যবহারযোগ্য পানির সংকট এবং বন্যার পানি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক সময় ফসলের ক্ষতি হয়। যা কৃষকের পক্ষে সামাল দেয়া অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, নদীতে নাব্যতা সৃষ্টি এবং খাল খনন এবং পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব। এছাড়াও আবাদী জমি দখল এবং খাল-বিলের জমি ক্রয়, নদীতে বাড়িঘর নির্মাণের চেষ্টা এবং কৃষিজ জমি দখল করার কারণে আবাদি জমির সংকট বাড়িয়ে দিচ্ছে।

স্মরণ রাখতে হবে যে, কৃষি জমির সংকট পক্ষান্তরে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করবে। সতুরাং, সাধারণ মানুষসহ সকলকে এ বিষয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। অন্যদিকে খুলনা ও রংপুর অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিপূর্ণ সংযোগ দিলে অত্র অঞ্চলে কৃষির বিভিন্ন সংকট কমে যাবে। যদিও রংপুর অঞ্চলে এখন গ্যাস সংযোগ দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা কৃষিজ সম্পদ বৃদ্ধি ও শিল্পায়ন ব্যাপক অবদান রাখবে।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে