সার্বিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণের জন্য নগরীর মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় বর্জ্য ডিপোতে একটি মধ্যবর্তী শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনার পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে অতি আধুনিক যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে যাচ্ছি। মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় বর্জ্য ডিপোতে ৩১ একর জমিতে একটি ইন্টারমিডিয়েট ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।”ব্যারিস্টার তাপস বলেন, “ডিএসসিসি ইতোমধ্যে ১০ টন এবং ছয় টন বর্জ্য বহন করার ক্ষমতা সম্পন্ন হরিজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং মেশিন এবং কমপ্যাক্টর গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”
কম্প্যাক্টর গাড়ি, হরিজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং মেশিন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হলে, ডিএসসিসি অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি জানান।ব্যারিস্টার তাপস বলেন, “তারা আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে বর্জ্য সংগ্রহ করে সরাসরি মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় বর্জ্য ডিপোতে নিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন।” মেয়র বলেন, “আপনারা জানেন, মেয়রের দায়েত্ব নেয়ার পর, আমি কিছু কাজ করার জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছি যার মধ্যে রয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। আমি জাইকা’র (জাপান ইন্টারন্যাশনাল সহযোগি সংস্থা) উদ্ভাবিত ওয়ার্ড-ভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে রদবদল এনেছি।”
তিনি বলেন, “ডিএসসিসির আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র বা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪২টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে এবং বাকি ৩৩টি ওয়ার্ড এই বছরের মধ্যে এসটিএস পাবে।”মেয়র বলেন, “তারা মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রমকে আঞ্চলিক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করার কথা ভাবছেন কারণ দিন দিন এগুলো বাড়াছে।”তিনি বলেন, “বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সরাসরি মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় বর্জ্য ডিপোতে পরিবহনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নীতিমালা গ্রহণ করেছি যে, রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গায় আর ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না।”মেয়র জানান, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তারা ইতোমধ্যে খাল, বক্স-কালভার্ট ও ড্রেন থেকে ৮ লাখ টন বর্জ্য ও পলি সংগ্রহ করেছেন।তিনি বলেন, “গত ১০ মাসে ডিএসসিসি এখন পর্যন্ত ৬.৯৪ লাখ টন গৃহস্থালির আবর্জনা সংগ্রহ করেছে।”
তথ্যঃ ইটিভি