রাজধানীবাসীর পানির চাহিদা পূরণে ৬০’দশকের গঠিত হয় ওয়াসা। পরে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনের কয়েকটি প্রকল্প চালু করা হয়। ওয়াসা কর্তৃক গত ছয় দশকে কয়েকশ’ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। মুন্সীগঞ্জের পদ্মা-জশলদিয়া ও সায়েদাবাদ প্ল্যান্ট থেকে চাহিদার ৩০ শতাংশ মিটছে। ২০২৩ সালের মধ্যে অন্য দুটি প্ল্যান্ট চালু হলে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার ৭০ শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরের পর বছর গভীর নলকূপ থেকে পানি উত্তোলনের কারণে নামতে থাকে পানির স্তর। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে কয়েকটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়। পদ্মার জশলদিয়া পানি শোধনাগার এর অন্যতম। ২০১৫ সালে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ করে শুরু হয় জশলদিয়ার প্রকল্পের কাজ।
প্রতিদিন প্রায় ২২ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা হচ্ছে এই প্ল্যান্ট থেকে। যা থেকে চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ মিটছে। অত্যাধুনিক পদ্ধতির শোধনাগারটি পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদনে গেলে ভূর্গভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা আরও কমবে। এ ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, ‘উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণেই এ প্ল্যান্টের পানি নিরাপদ। এই প্লানটির সক্ষমতা হচ্ছে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করা। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সকল মেশিনারিজ, পাম্প মোটর, ইকুয়েপমেন্ট, গেটবাভাল্প ও সেন্সর আলাদাভাবে পরিচালনা করা করতে পারি। সকল ডাটা মনিটারিং করা যায় এবং সঠিক সময়ে প্রকৃত অবস্থা এখান থেকে আর্কাইভ করা যায়।
তবে, ঢাকার পানির নেটওয়ার্ক ঠিক করতে গত একযুগে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। এর কারণ জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম-এ খান বলেন, ‘পদ্মা জশলদিয়া শোধানাগারে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু, আমাদের ফান্ড না থাকায় সেটি হচ্ছে না।’
শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার সবচেয়ে বড় পানি শোধনাগার মুন্সীগঞ্জের এই পানি শোধনাগারটি। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে গত বছর এটি উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে প্রতিদিন ২২ হাজার কোটির বেশি লিটার পানি উৎপাদিত হচ্ছে এখান থেকে। যখন পূর্ণমাত্রায় যাবে তখন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি পানি উৎপাদন করবে। তখন ঢাকার চাহিদার এক পঞ্চমাংশ পূরণ করবে এই শোধনাগারটি।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ