মহামারি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে সুদৃশ্য বোতলের ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ছেয়ে গেছে সারাদেশ। রাজধানীর বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ক্ষতিকর মিথানল বা কাঠে ব্যবহার করা স্পিরিট দিয়ে তৈরি হচ্ছে নকল এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

উপকার তো দূরে থাক বরং মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে চর্মরোগ এমনকি চামড়ার ক্যান্সারও হতে পারে। এই যখন অবস্থা, তখন ফুটপাত থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার না কেনার আহবান ওষুধ প্রশাসনের। এসব ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যান্স রাব বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে তৈরি হচ্ছে। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এসব নকল। সুন্দর বোতলে এমনভাবে ভরা হয় যে কেউ দেখলেই নকল কি না সেটা সহজে বুঝতে পারবে না।

রাজধানীর রায়েরবাগের ও মিডফোর্টে এরকম কয়েকটি নকল কারখানায় কয়েক মাস ধরেই তৈরি করা হচ্ছিলো ভেজাল সুরক্ষা সামগ্রী। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাবসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ভেজাল এসব পণ্য যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর অলিগলি ও ফুটপাতে। রাস্তার পাশে অনেকেই এখন এরকম সুরক্ষা সামগ্রীর দোকান খুলে বসেছেন। স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডস রাব মিরপুর ও মিডফোর্ড থেকে কিনে আনেন বিক্রেতারা। আসল না নকল তা জানেন না তারা।

নকল এসব স্যানিটাইজার বন্ধে কঠোর হওয়ার দাবি জানান ক্রেতারা। এদিকে অনুমোদনহীন সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি না করার আহবান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, যেসব রেজিস্ট্রার প্রোডাক্ট আছে সেগুলির মধ্যে ডি আর নাম্বার আছে, এম এ নাম্বার আছে, কোম্পানীর ম্যানুফ্যাকচারিং লাইসেন্স নম্বর আছে এইসব দেখে যদি কেউ কেনে তাহলে প্রতারিত হবে না। যদি রাস্তা থেকে লেবেল বিহীন কিছু কেনে, তাহলে প্রতারিত হবে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভেজাল বেড়ে গেছে। রাষ্ট্রের যে সুনির্দিষ্ট অর্গান আছে, তাদের কার্যক্রম গুলি যদি তারা সঠিকভাবে পালন করে, মনিটরিং এর জায়গা যদি আরো শক্ত করা হয় তাহলে এসব কমে যাবে। সাধারণ জনগণকেও সচেতন হতে হবে। আর ভেজাল ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানো দরকার বলেও জানান তিনি।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে