জুন মাসের বন্যার রেশ না কাটতেই উজানের ঢল আর বৃষ্টিতে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি আবারো বাড়ছে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জে এবং তিস্তার পানি লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চল, সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেখানে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি ৩টি পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে। এতে নতুন করে প্লাবিত বেশকিছু নিম্নাঞ্চল। আর বন্যা দেখা দিয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া, কাজির পয়েন্ট, মধ্যবাজার ও মল্লিকপুরসহ বেশকিছু এলাকায়। এ পর্যায়ে জেলার ৪ শতাধিক গ্রামের ৬ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি।
সড়ক ভেঙে দোয়ারা বাজারের সঙ্গে কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেড়েছে উজানের ঢল। তাই দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। পাহাড়ি ঢলে সিলেটেও বেড়েছে নদ-নদীর পানি। টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বন্যার কবলে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রাম।
ভারী বৃষ্টিতে তিম্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে আবারও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। নতুন করে পানিবন্দি লালমনিরহাট ও নীলফামারীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
গাইবান্ধায় করতোয়া ও তিস্তার পানি বেড়ে নতুন করে বন্যার শঙ্কায় গোবিন্দগঞ্জ-পলাশবাড়ির মানুষ। আর কুড়িগ্রামে প্লাবিত তিস্তা নদী তীরবর্তী বেশকিছু চরাঞ্চল ও পানিবন্দি ত্রিশ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ।
সিরাজগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে প্রথম দফায় ঘড়বাড়ি ছেড়ে বাঁধ বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষ। তাদের ঘরে ফেরাও অনিশ্চিত।
টাঙ্গাইল ও জামালপুরে বেড়েছে যমুনার পানি। জামালপুরে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১৫ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট।
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এ দফায় ২৭ জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছে পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। যা স্থায়ী হতে পারে অন্তত এক মাস।
নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্স নিউজ