টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি ১৬টি পয়েন্টে বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। এতে করোনা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে অন্তত ১০ জেলা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নতুন কয়েকটি জেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দিনে বন্যা দেখা দিতে পারে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের নতুন কয়েকটি জেলায়। এ দফায় বন্যা চার সপ্তাহ স্থায়ী হওয়া আশঙ্কা রয়েছে, জানিয়েছে পূর্বাভাস কেন্দ্র। দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যার অবনতি হয়েছে। শহরের পাশাপাশি প্লাবিত হয়েছে জেলার ৭ শোর বেশি গ্রাম। পানিবন্দি অন্তত ৬ লাখ মানুষ। ভেঙে পড়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্গতরা আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট।
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে সুরমা নদীর পানি। এতে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহর। আর পানি ঢুকে পড়েছে সব বাসা-বাড়িতেও। যাদুকাটার পানি বাড়ায় সদর উপজেলার পাশাপাশি হাওরাঞ্চলের বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও দোয়ারাবাজারের ৭ শতাধিক গ্রামের ৬ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গায়। বন্যার কারণে জেলা সদরের সঙ্গে ৪’উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর বন্যা কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য বিতরণের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সংগঠনের নেতারা। তবে এরই মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় চাল ও শুকনো খাবার পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। গত জুন বন্যা দেখা দেয় সুনামগঞ্জে। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। আগের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো বন্যার কবলে পড়ল জেলাটি।
এদিকে, তিস্তা নদীর পানি লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে আজও বিপৎসীমার বেশ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের সব গেট। সিলেট শহরে জলাবদ্ধতায় বেড়েছে জনভোগান্তি। নীলফামারী ও লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ পুনরায় পানিবন্দি।
নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইম্স নিউজ