বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের দুর্গম হাটবাড়ি চরে যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে টিনের বেড়ার ঘরে বসবাস গণি সরকারের। যমুনা নদীর ঢলে প্লাবিত বসতঘর। ঘরের উঠানে থইথই পানির স্রোত।
চাল-ডাল, কাঁথা-বালিশ আর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন নৌকায়। গোয়ালঘরে বুকসমান পানি ওঠায় বসতবাড়ির খানিকটা দূরে উঁচু জায়গায় খোলা আকাশের নিচে ১৩টি গরু আর ১০টি ছাগল বেঁধে রেখে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
গণি সরকার বলেন, ‘সাত দিন থ্যাকে জলত সংসার। লিজেরাই লৌকাত ভাসিচ্চি। গোয়ালঘরত বুকসমান পানি। গরু-ছাগল থুবার অ্যাকনা জায়গা নাই। খ্যাতে দুই বিঘা ঘাস আচলো, বানত শ্যাষ। খড় নাই, ভুসি নাই। লিজেরাই খাবার পাচ্চি না, গরু-ছাগলক খাবার দিমো কী?’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি মিচ্চি অ্যানা উঁচা জায়গা পাচনো, সেটি কোনোরকমে গরু-ছাগল বান্দে রাখিচ্চি। দিন’ত ভয় বানের ঢলের। রাত’ত চোর-ডাকাতের। গরু ছাগল লিয়ে কোন্টে যামো। চারডা গরু লৌকাত তুলে জুম্মারবাড়ি হাটল লিচনো। পানির দাম। গরু কিনবার লোক নাই।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ