কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কুষ্টিয়া পেীরসভার সার্ধশত বার্ষিকীর দশম দিন উৎযাপিত হয়েছে। মেয়র আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহুরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র মহোদয় খুবই দক্ষ, বিচক্ষন ও প্রবীন সামজ সেবক। যোগ্যতার কোন কোমতি নেই তাঁর। এই গোছানো ও মনোমুগ্ধকর আয়োজনে তার প্রমান করে। তিনি আরো বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যের প্রায় সব কিছুই এই মেলার মাঠে আছে। পৌর মেয়র এই আয়োজনে করে তরুন প্রজন্মকে একদিকে যেমন এদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে নুতন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। ঠিক তেমনি আমাদেরকে আমাদের পূর্বপুরুষদের কথা অর্থাৎ আমাদের শেখরের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

পেীর কর্মকর্তা রানভির আহমেদ ও সাবিনা ইসলাম এর পরিচালনায় আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মিরপুর পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ এনামুল হক। আলোচক হিসেবে ছিলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক আরশীনগর পত্রিকার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র-১ আলহাজ মতিয়ার রহমান মজনু।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মিরপুর পৌরসভার মেয়র বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। পৃথিবী বুকে মাতা উচু করে দাড়াবে আমাদের বাংলাদেশ। তার সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আর তার সহযোদ্ধা হিসেবে কুষ্টিয়া পৌরসভার জননন্দিত মেয়র সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন পৌর নাগরিকদের জন্য।
আলোচনা সভায় আলোচক রাশেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৪র্থ পৌর নির্বাচনে প্রথম নির্বাচিত হন চেয়ারম্যান আনোয়ার আলী। তখন কুষ্টিয়া পৌরসভা ছিল গ শ্রেনীর পৌরসভা। রুগীদের বহন করার জন্য কুষ্টিয়াতে কোন এম্বুলেন্স ছিল না। তখন এই মহান ব্যক্তি পৌর নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য একটি এম্বুলেন্স এনেছিলেন। এছাড়াও পৌরসভার নিজস্ব কোন মনোগ্রাম ছিলনা। ছিলনা রাস্তা-ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ কোন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। এই সব নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র অক্লান্ত পরিচ্ছম করে তার কাজের মাধ্যমে ০৭ এপ্রিল ১৯৯০ সালে এই পৌরসভা ক শ্রেনীতে উন্নিত করেন। এছাড়াও পৌর নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য ও পিছিয়ে পড়া জনগৌষ্ঠির জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। পৌর ইতিহাসে হাজার বছর বেঁচে থাকবেন পৌর পিতা ও আমার রাজনৈতিক গুরু আনোয়ার আলী। পৌরবাসীর সহযোগীতায় আধুনিক ও নান্দনিক পৌরসভার হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমরা আশাবাদী।

সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, আমি যখন প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় তখন মানুষের মল মানুষ মাথায় করে বহন করতো। এটা আমাকে খুবই কষ্ট দিত। তখন আমি উদ্যোগ গ্রহন করি এই কাজটি আধুনিকায় করা দরকার। পরবর্তী সময়ে গাড়ী ও ভ্যাকুট্যাগের মাধ্যমে মানুষের মল বহন করা হয়। আজ এই মল দিয়ে বিল এন্ড মেলিন্ডা ফাইন্ডেশনের সহযোগিতায় সার তৈরি করে দেশে ও আন্তজাতিক ভাবে সুনাম অর্জন করেছে কুষ্টিয়া পৌরসভা। শুধু তাই নয়, মল ও মানব বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার উদ্দোগ গ্রহন করা হয়েছে। এজন্য আপনাদের সহযোগীতা প্রয়োজন। আলোচনা শেষে বোধোদয় ও চক্রবাক আবৃত্তি পরিষদের সদস্যরা আবৃত্তি করেন এবং নাটক অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রিতম মজুমদার
কুষ্টিয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে