রাজধানীর মিরপুরে ১৬০ একর জমিতে ৩০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে ৯০ একর জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার পূর্বাচলে উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য বিভিন্ন আকারের ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। এ ছাড়া রাজধানীর মিরপুরে ১৬০ একর জমিতে ৩০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ৯০ একর জমির ফ্ল্যাট নির্মাণে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’
আবাসন খাতের সংকট নিরসনে এ খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদহারে ঋণ সুবিধা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ‘ঢাকা শহর থেকে পর্যায়ক্রমে চামড়া ও চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো নির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। তা ছাড়া রাজধানী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার খালবিল, নিচু ভূমি ও জলাধার সংরক্ষণে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
আবাসন খাতে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ব্যাংক ঋণের শর্ত সহজ ও সুদের হার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন হোসেন খালেদ। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পুরাতন ফ্ল্যাট বেচা-বিক্রির ক্ষেত্রে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি, গেইন ট্যাক্সসহ অন্যান্য খরচ যুক্ত হওয়ার ফলে পুরাতন ফ্ল্যাটের প্রকৃত মূল্য বাড়ছে।’
হোসেন খালেদ বলেন, ‘বর্তমানে বসতবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি ব্যাপকভাবে কমেছে এবঙ বহু ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় আছে। ন্যূনতম মূল্যেও এসব বিক্রি করা যাচ্ছে না।’ ডিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, ‘গ্যাস সংকট মোকাবিলায় ভবনগুলোর নিচতলায় নির্দিষ্ট জায়গায় সব অ্যাপার্টমেন্টের সিলিন্ডার স্থাপনের প্রস্তাব থাকলেও তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সংকট নিরসনে রাজধানীকে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে কিছু এলাকায় তিতাস গ্যাস ও কিছু এলাকায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকেন্দ্রভিত্তিক বিদ্যমান পাইপলাইনে এলপিজি অথবা বিকল্প গ্যাস সরবরাহ করা যেতে পারে।’
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআইর সহসভাপতি খ আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক হোসেন আকতার, কামরুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন মালিক, মোক্তার হোসেন চৌধুরী, সেলিম আকতার খান ও ডিসিসিআইর মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।