ধারাবাহিকভাবে কমছে আমদানি ব্যয়। রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিলাসী তথা অনাত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই আমদানি কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ। আর্থিক হিসাবে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ফিরবে। তবে বাড়াতে হবে রপ্তানি।
আমদানি ব্যয় কমছে খুবই দ্রুত গতিতে। টানা ১২ মাস ধরে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। ফলে কিছুটা চাপে থাকলেও রিজার্ভ এখনও রয়েছে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানিতে দেশের ব্যয় হয় ৮৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। তবে পরের অর্থবছরে প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ব্যয় নেমে আসে ৭৫ বিলিয়ন ডলারে। আমদানি কমার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। চলতি অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে আমদানি ব্যয় কমেছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৫ দশমিক ৯১ ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আমদানিতে ব্যয় হয় ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। এলসি নিয়ন্ত্রণ বা কড়াকড়ি আরোপের কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকেই আমদানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ধারায়। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি ব্যয় কমে আসা ইতিবাচক। তবে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, মূলধনী যন্ত্রাংশ এবং জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, “রপ্তানি ঠিক রাখার জন্য কাঁচামালের আমদানিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিলাসী ও জরুরি নয় এমন পণ্যের আমদানি আরও নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “অন্ততপক্ষে তিনমাস যে কোনো রকমের বিলাসী পণ্যের এলসি খোলা যাবে না। উৎপাদন খাত তথা রপ্তানি-বাণিজ্য গতিশীল হলে মজবুত হবে রিজার্ভ। হুন্ডি রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার তাগিদ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের।