আজ ৬’ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার ১০’দিন পূর্বে ৬’ই ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর মার্চ মাসে মুজিব বর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাংলাদেশ সফরের সময়ই ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। স্বাধীনতা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীতে গত বছর এই দিনে প্রথম বাংলাদেশ ও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে মৈত্রী দিবস পালন করেছে। এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উভয় দেশে দিনটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত দু’টি ভিন্ন দেশ হলেও উভয় দেশের জনগণের সম্পর্ক অচ্ছেদ্য, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পোড়ামাটি নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে বাঙালী নিধনে মেতে ওঠে তখন ভারত সরকার, ভারতের জনগণ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এ বন্ধনকে স্থায়ী রূপ দিয়েছিল।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে আনতে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসংখ্য সদস্য সেদিন প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। আর এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই রক্তের আঁখরে রচিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের মৈত্রীর বন্ধন, মানুষে মানুষে প্রীতি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি এ বন্ধন রচনার ভিত্তিমূল দৃঢ়তর করতে বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মো. রশিদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি দুই দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে