আগামী অক্টোবরেই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানার কয়লাভিত্তিক এ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে এখন চলছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এমন বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থনৈতিক সুফল মিলবে বেশি। বাগেরহাটের রামপাল। পশুর নদীর তীরে একসময়ের নিচু আর জলাবদ্ধ জমিতে গড়ে উঠেছে সুবিশাল আধুনিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ৯১৫ একর জমিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটি ইউনিটে কয়লা থেকে উৎপাদন করা হবে বিদ্যুৎ। যেখানে স্থাপন করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার চিমনি। গভীর সমুদ্র থেকে পশুর নদী হয়ে বিদেশ থেকে উন্নতমানের কয়লা আসে বিশেষ জাহাজে। চারটি শেডে তিন মাসের চাহিদা মেটাতে মজুত করা যাবে ১০ লাখ টন কয়লা।
প্রথমধাপে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়ছে ৫৫ হাজার টন কয়লা। এছাড়া তরল ও কঠিন বর্জ্য পরিশোধনে আছে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। প্রথম ইউনিট থেকে ১৫ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে সঞ্চালন লাইনে প্রায় ৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোড করা হয়। এখন নিয়মিত উৎপাদন বাড়িয়ে সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে রিলায়েবল টেস্ট রান, কমিশানিং অপটিমাইজেশন শেষ করতে হবে। প্রথম ইউনিট থেকে ৬০০ মেগাওয়টা বিদ্যুৎ গ্রিডে দেয়া যাবে। তিনি আরও জানান, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত পিজিসিবির লাইন তৈরি হয়নি। তাই খুলনা এলাকায় আপাতত ব্যবহার হবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে নেয়ার পরিকল্পনা আছে।
সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিটের নির্ধারিত খরচ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় কম হবে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। দেশে যখন প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি, তখন আসছে রামপালের বিদ্যুৎ। এ কেন্দ্রের মোট ব্যয় ১৬ হাজার কোটি টাকা। দুই দেশের সরকার জোগান দিয়েছে ১৬০০ কোটি করে। বাকি ১২ হাজার ৮শ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।