পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি বিচারকাজ। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে আগামি ১৪’ই মার্চ ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা হাফসা ঝুমা’র আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, সাক্ষীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় বিচার বিলম্বিত হওয়ায় শঙ্কার কথা জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আর এমন পরিস্থিতিতে বিচার বিলম্বিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন মামলার বাদী আসিফ আহমেদ। পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন। পাঁচ তলা ভবনের সবকিছুই আগের মতোই। নিচ তলায় দুটি দোকান স্টোর। দোতলায় দুটি ব্যাংক। তিন তলা থেকে ওপরের তলাগুলো ভাড়া দেওয়া হয়নি, এখনো খালি পেড় আছে।এই ভবনের দোতলায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। দগ্ধ হয়ে মারা যান ৭১ জন।
এ’ঘটনায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে সোহেল ও হাসানসহ ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জুম্মনের ছেলে আসিফ আহমেদ। এরপর গেলো বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভবন মালিকের দুই ছেলেসহ আট জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় ১শ ৬৩জনকে সাক্ষী করা হয়। সাক্ষীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিচার বিলম্ব হওয়ার আশংকা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু। এমন পরিস্থিতিতে বিচার বিলম্বিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন মামলার বাদী আসিফ আহমেদ। প্রশ্ন তোলেন চার্জশিট দেওয়ার সময় ক্ষেপন নিয়েও।
এ’মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, ভবনের মালিক দুই সহোদর হাসান ও সোহেল, রাসায়নিকের গুদামের মালিক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক মোজাম্মেল হক, ম্যানেজার মোজাফফর উদ্দিন, মোহাম্মদ জাওয়াদ আতির, মো. নাবিল ও মোহাম্মদ কাশিফ। এরা সবাই জামিনে আছেন। আর অভিযোগ প্রমাণ হলে আসামীদের সর্বোচ্চ ১০’বছরের সাজা হতে পারে।