ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি এবং ডিজেলের দাম বাড়ায় সেচের খরচ বেড়ে যাওয়া, সব মিলিয়ে আমনের চাষে বিচিত্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমনের আবাদ করতে গিয়ে এবার কৃষকরা বৃষ্টির অভাব’সহ বড় তিনটি ধাক্কা খেয়েছে। আসছে শীতের পৌষে কৃষকের ঘরে ঘরে নতুন চালে পিঠা খাওয়ার ধুম কতটা পড়বে, নবান্ন ঊৎসব কতটা জমবে তা নিয়ে এখনই চাষির কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ। এই সময়টা আমন ধান চাষের মৌসুম, যা কৃষকের ঘরে উঠবার কথা শীতে।
কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত বছরের আমন মৌসুমের চেয়ে তিন লাখ হেক্টর কম জমিতে এবার ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। অথচ চলতি আমনের মৌসুম যখন শেষের পথে তখনও লক্ষ্যমাত্রার ৫৬ লাখ হেক্টর জমির মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫ লাখ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা সম্ভব হয়েছে। এখনও ৩১ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ শুরু করা যায়নি। অথচ এই ধান চারা রোপনের সময় আছে আর মাত্র দুই সপ্তাহ। কৃষকের এমন বিপদের কারণ হচ্ছে এবারের বর্ষায় বৃষ্টির স্বল্পতা। যখন প্রকৃতির বিরুপ আচরণের দুশ্চিন্তায় কৃষক তখন আমন চাষে বহুল ব্যবহৃত ইউরিয়া সারে ভর্তুকি কমিয়েদাম বাড়িয়েছে সরকার। যেই ইউরিয়া সার কৃষকরা ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ টাকায় কিনত সেটাই এখন ২২ টাকা। কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশি নেওয়ারও অভিযোগ আছে। ইউরিয়ার দাম বাড়ায় আমন চাষে নেতিবাচক প্রভাব দেখছে কৃষকরা।
ইউরিয়ার ব্যবহার কমাতে চায় সরকার। কিন্তু এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে তা নিয়ে আছে সংশয়। কারণ ইউরিয়ায় আগ্রহও বেশি কৃষকদের। শুধু ডাই-অ্যামোনিয়ামফসফেট ডিএপি সার উৎসাহিত করতেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারনে ইউরিয়ার দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।