অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ৪০ শতাংশ প্রকৃত উপকারভোগী টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পাননি। আবার যারা পেয়েছেন, তাদের ১৪ শতাংশই পণ্য কেনায় দুর্নীতির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। বৃহস্পতিবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করে সংস্থাটি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি বলছে, অস্থির নিত্যপণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিতে নিম্ন আয়ের ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। উদ্যোগ ভালো হলেও, সঠিক মানুষ সুবিধা পাচ্ছে না। গবেষণায় টিআইবির দাবি, প্রাথমিকভাবে করোনাকালে সাড়ে ৩৮ লাখ কার্ড অন্তর্ভুক্তির কথা থাকলেও, পড়ে আরো সাড়ে ৬১ লাখ যোগ হয়। যার বেশিরভাগই রাজনৈতিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ টিআইবির। এতে, প্রকৃত ভুক্তভোগীদের বাদ দেয়া হয়েছে। আর ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য কেনায় দুর্নীতির শিকার প্রায় ১৪ শতাংশ।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘উপকারভোগীর তালিকাভুক্তি, পণ্য ক্রয়ে স্বচ্ছতার ঘাটতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে একদিকে প্রকৃত উপকারভোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ফ্যামিলি কার্ড তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বাদ পড়াদের ৮০ শতাংশই মনে করেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তাঁরা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। অন্যদিকে উপকারভোগীদের চাহিদা, পণ্য ক্রয়ের সামর্থ্য এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রবেশগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো যথাযথভাবে বিবেচনা না করায় দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ইতিবাচক উদ্যোগের সুফল যথাযথভাবে পৌঁছাচ্ছে না। যা এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করেছে। তবে টিসিবির দাবি, কার্ডের তালিকা তৈরির দায়িত্ব তাদের নয়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি দায় চাপাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন সংশ্লিষ্টদের ওপর।
ঢাকা ও বরিশালকে বাদ দিয়ে ৩৫টি জেলায় গবেষণার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে টিআইবি। এ সময় টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন- টিআইবির রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম।