জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার দেশের সাধারণ মানুষ। উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসগুলোতে হয়রানিও হতে হয় অনেক বেশি। যদিও সংশোধনের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে কয়েকবছর আগে দায়িত্ব বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলো নির্বাচন কমিশন। সহজে নাগরিকদের এই সেবা দিতে এবার ১২ দফা নির্দেশনা দিলো মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোকে। এনামুল সর্দার নামের এক ব্যক্তি জানালেন দুই বছর ১০’মাস ধরে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কার্যালয়ে ঘুরছেন জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নামের আগে মো. সংযুক্ত করতে আর বাবার নামে একটিঅক্ষর সংশোধনের জন্য। চলাফেরায় সমস্যা থাকলেও দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন হরেক রকম কাগজ নিয়ে,তবে কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টকরতে পারেননি তিনি।

হাবিবুর রহমান রংপুর থেকে ঢাকার আগারগাঁও এসেছেন তার স্ত্রীর নাম ও বয়স সংশোধনের জন্য। অনুসন্ধান করে দেখা যায় আবেদনটি খ ক্যাটাগরির, এটি রংপুর জেলা নির্বাচন অফিসে নিষ্পত্তি হবার কথা। কিন্তু হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় অফিস থেকে তাকে ঢাকায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে আরিফুর রহমান তারজাতীয় পরিচয়পত্রে নামের আগে মোহাম্মদ সংযুক্ত করতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। ক-ক্যাটাগরিরখুবই সাধারণ এই আবেদন নিষ্পত্তি করার কথা নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের। কিন্তুবার বার তাগাদা দিয়েও সংশোধন হয়নি। এমন অনেকেই ঘুরছেন নির্বাচন কমিশনে।অনেক স্থানে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অসযোগিতায় ভোগান্তি বাড়ে নাগরিকদের। এমন বাস্তবতায় গেলো মাসে ১২টিনির্দেশনা জারি করে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং। এসব নির্দেশনায় বলা হয়েছে অযৌক্তিক কাগজপত্র চাওয়া যাবেনা, শুনানীগ্রহণের ১০’দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে, ক ক্যাটাগরি ৭ দিনে, খক্যাটাগরি ১৫ দিনে ও গ ক্যাটাগরির আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সংশোধন করতে হবে, কোন নাগরিকআবেদনে অসমর্থ হলে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস আবেদনে সহযোগিতা করবে বলে জানালেন মোহাম্মদপুর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাওজুল কবীর রমনাথানা নির্বাচন কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান রেনু।

থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে নাগরিকদের ভোগান্তির বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকেরকাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে