ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধ করা এবং টিকিট কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধের পাশাপাশি টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী যেন স্টেশনে ঢুকতে না পারে সেজন্য ৫০টি স্টেশনে বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন রেল মন্ত্রণালয়। এর আগে, গত ২১ জুলাই ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেয়া বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী উঠলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া টিকিট কালোবাজারি রোধে বর্তমানে যে সব কার্যক্রম চলমান আছে, সেগুলো আরো গতিশীল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সাথে রেলের দুই অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকদের মাঠ পর্যায়ে টিকিট কালোবাজারি রোধে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কালোবাজারি বন্ধে নির্দেশনা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। রেলে কর্মকর্তারা জানান, আগের মতো এখন টিকিট কালোবাজারি সে অর্থে হয় না। কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট দেওয়া হয়, ফলে কালোবাজারির সুযোগ নেই। অনেক সময় দু-তিন দিনের ছুটিতে রেলে যাত্রীর চাপ পড়ে, তাতে কেউ টিকিট কালোবাজারির সুযোগ নিতে পারে।