জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এই উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে প্লাবিত হওয়া এলাকার সংখ্যা। হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ ৯টি ইউনিয়নের ৬৮৭ টি পরিবারের ৭/৮ শত মানুষ পানিবন্ধ অবস্থা রয়েছে।
ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখে যাদের অসুবিধা হয় তারা আশ্রয় নেবার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হরষপুর ও পত্তন ইউনিয়নের দুইটি আশ্রয়ের কেন্দ্রে নারী পুরুষ ও শিশু মোট ৫৬ জন আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রতিমুহূর্তে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে।বিজয়নগর উপজেলা মোড় থেকে পাহাড়পুর যাওয়ার রাস্তা, ইসলামপুর থেকে মনিপুর বন্দর বাজারে যাওয়ার রাস্তা,নোয়াগাঁও থেকে দুলালপুর যাওয়ার রাস্তাসহ ছোট বড় ১০/১২ টি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানি, গো-খাদ্যসহ শুকনো খাবারের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে।
আরো জানা গেছে, উপজেলার চর ইসলামপুর, পত্তন ইউনিয়নের ভাটি অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর, হাজীপুর, হাতুরাপাড়া, বুধন্তী ইউনিয়নের বিরপাশা, চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা, রামপুর ও রসুলপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনূর জাহান জানান, আমরা সম্মিলিত ভাবে সার্বক্ষণিক সরেজমিনে ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি মনিটরিং করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বন্যায় প্লাবিত পরিবার গুলোকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ চলছে। সেই সাথে ত্রাণ সহায়তার জন্য আগামীকাল থেকে আমরা পানিবন্ধী মানুষের কাছে যাব। এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, প্রকল্প কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে ও বিস্তারিত খোঁজ খবর রেখে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে যাচ্ছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সহায়তার জন্য কথা বলেছি। আশা করছি আগামী কাল থেকেই আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ