আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বা আইওএম জানায়, লিবিয়া থেকে ইউরোপগামী ২৬৭’জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করেছে তিউনিশিয়া কর্তৃপক্ষ। যার বেশিরভাগই বাংলাদেশি।

তিউনিশিয়ার সীমান্তরক্ষীরা জানায়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে তিনজন মিশরীয় রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া নৌকা ভেঙে যাবার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাগরের পানিতে আটকে ছিলেন। পরে, নৌবাহিনীর সাহায্যে তিউনিশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বেন গুয়েরদানে বন্দরে নিয়ে আসা হয় তাদের, যা লিবিয়া সীমান্ত থেকে খুব একটা দূরে নয়। এরপর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুলে দেওয়া হয় আইওএম ও রেড ক্রিসেন্টের হাতে, জানাচ্ছে সীমান্তরক্ষীরা। তিউনিশিয়ার দিয়েরবা দ্বীপের একটি হোটেলে প্রাথমিকভাবে কোয়ারান্টিনে রাখা হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।

আইওএমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রায় এক হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে তিউনিশিয়ায় এসে পৌঁছান। এই সংখ্যা বর্তমানে ঊর্ধ্বগামী। লিবিয়া থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন, যা আগের বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি, জানাচ্ছে জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটি এও বলে যে, লিবিয়া ও তিউনিশিয়ায় অভিবাসীদের জীবনযাপনের মান নিম্নগামী হওয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বিপজ্জনক এমন পথ পাড়ি ইউরোপে পৌঁছার চেষ্টা করেন। রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মোঙ্গি স্লিম বলেন, ইতিমধ্যে তিউনিশিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য তৈরি করা বিশ্রামকেন্দ্রগুলো পুরো ভর্তি।

জাতিসংঘ বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত, মোট ৭৬০জন নিহত হয়েছেন এই সাগরপথে পেরোতে গিয়ে। এই সংখ্যাই গত বছর ছিল এক হাজার ৪০০।/এসএস/আরআর(এএফপি)

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে