করোনাকালে মাস্ক অপরিহার্য। আর এই সুযোগে নিম্নমানের ও নকল মাস্কে ভরে গেছে বাজার। এমনকি অনুমতি না নিয়েই তৈরি হচ্ছে কেএন নাইন্টিফাইভ মাস্কও। আর সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরির ছাড়পত্র আছে কেবল মাত্র ৯টি প্রতিষ্ঠানের। অথচ এ দুই ধরনের মাস্ক বানাতে গড়ে উঠেছে ২০০ কারখানা। যাদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই তদারক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।

দোকানে, ফুটপাতে মাস্কের ছড়াছড়ি। নানা রকম, বিভিন্ন দামের মাস্ক। বিক্রিও দেদার। তবে এগুলোর বেশিরভাগেরই নেই মান ও অনুমোদন। বিষয়টি অজানা ক্রেতাদের। তাই এসব কিনে একদিকে ঠকছেন তারা, অন্যদিকে থাকছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। অথচ দেখার কেউ নেই।

নিম্নমানের, অনুমোদনহীন এসব মাস্ক আসছে কোথা থেকে – এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে দেখা জানা যায়, পুরান ঢাকার লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, দক্ষিণখান, উত্তরখান, বছিলা, বাড্ডা, কেরানীগঞ্জ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রায় ২০০ কারখানা।

মিরপুরের কচুখেত এলাকায় এরকম একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, তৈরি হচ্ছে সার্জিক্যাল ও কেএন নায়েন্টিফাইভ নামের মাস্ক। তবে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন নেই। শুধু মাস্ক তৈরিই নয়, নিজের একটি পোশাক কারখানার নামে তা বিদেশে রপ্তানিও করছেন বলে দাবি এর মালিকের। তিনি জানালেন, এমন ৫০টি কারখানা আছে শুধু ঢাকা উত্তরেই।

ঔষধ প্রশাসন জানায়, সার্জিক্যাল মাস্ক বানানোর জন্য ঔষধ প্রশাসনের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। আর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এন নাইন্টিফাইভ বা কেএন নাইন্টিফাইভ মাস্ক তৈরিতে ঔষধ প্রশাসন থেকে নিতে হবে লাইসেন্স। তবে নিম্নমানের, নকল ও অনুমোদনহীন মাস্ক বাজারজাত বন্ধে ঔষধ প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে। যদিও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অনুমোদন ছাড়া মাস্ক উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তাও চায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে