বড় উদ্যোক্তারা সরকারি প্রণোদনার বেশির ভাগ অর্থ পেলেও খুব সামান্যই পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তাদের জন্য বরাদ্দ প্রণোদনার ঋণের মধ্যে বিতরণ হয়েছে মাত্র সাত ভাগের এক ভাগ। নানা শর্তের কারণে ঋণ পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তোদের জন্য দ্রুত অর্থ ছাড় করতে, ঋণের শর্ত শিথিলসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

করোনার লোকসান কমাতে বিভিন্ন ধাপে ব্যবসায়ীদের জন্য এক লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে বড় উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণের বেশির ভাগই ছাড় হয়ে গেছে। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানে ঋণ বিতরণ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ ছিল। পরে চালু হলেও ক্রেতা সংকটে মুনাফা নেমে এসেছে ১০ ভাগের নিচে। এ অবস্থায় মূলধন ভেঙে চলতে হচ্ছে অনেককে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যবসা বন্ধ থাকায় সবচে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাই দ্রুত প্রণোদনার টাকা ছাড় করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সময়সীমা ধরা হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণ সময়মতো না হওয়ায়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছোট ও প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রণোদনার অর্থ বিতরণে ধীরগতির জন্য ব্যাংকাগুলোর সদিচ্ছার অভাবকেই বড় করে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে