আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বাড়তি ১৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাবে বাংলাদেশ। এদিন সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম তাদের গ্লোবাল অপারেশন চালু করতে যাচ্ছে। ২১ ফেব্রয়ারি মঙ্গলবার ‘আজ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক যায়যায়দিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে একটি সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মনোয়ার হোসেইন জানান, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের বিষয়। সমুদ্রের তলদেশের ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হলে বাংলাদেশ সব সময় অনলাইনে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ট্রেডের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে যুক্ত হবে।’ সি-মি-উই-৫ হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৫-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি এক কনসোর্টিয়াম, যাতে সংযুক্ত রয়েছে ১৭টি দেশের ১৫টি শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর। তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলে তারা এই অপারেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। তবে এই প্রজেক্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ হয়তো উদ্বোধনের দিন থেকেই পূর্ণাঙ্গ ব্যান্ডউইডথের সুবিধা পাবে না। রাজধানী ঢাকা এবং পটুয়াখালীতে সি-মি-উই-৫-এর স্টেশনের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত বিষয় এতে বাদ সাধতে পারে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালুর মাধ্যমে দেশের আইসিটি খাতে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে এবং সব সংকট মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইডথ বিদেশে রফতানি করা যাবে বলে মনে করেন আইটি বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়ক কনসোর্টিয়ামের আওতায় একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত। এই ক্যাবলটি কোনো কারণে বিচ্ছিন্ন হলে তার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল।

মাহমুদা রহমান অ্যানি, বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে