বারিয়েন্তোসের সরকার ও তার উচ্চপদস্থ মিলিটারি অফিসারদের এই ডায়েরী প্রকাশ না করার যথেষ্ট কারন আছে । কারন এতে তাদের সৈন্য বাহিনীর চরম অযোগ্যতা এবং মুষ্টিমেয় দৃঢ়সংকল্প গেরিলার হাতে তাদের বহুবার বিপর্যস্ত হবার কথা প্রমান হয়ে যায় । মাত্র কয়েক সপ্তহার যুদ্ধে গেরিলারা প্রায় দু’শ অস্ত্র কেড়ে নিয়েছিল ।
এছাড়া বারিয়েন্তোস ও তার শাসনকে চে যেভাবে বর্ণনা করেছে তাতে তার যথার্থ সরূপ প্রকাশ পেয়েছে । এমন শব্দ ব্যবহার করেছে যা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না ।

অপরপক্ষে সাম্রাজ্যবাদেরও যুক্তি আছে । চে এবং তার অসাধারন দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে । তাঁর চিন্তাধারা, তাঁর দৃষ্টান্ত, তাঁর নাম নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীকে পরিনত হয়েছে । সারা বিশ্বব্যাপী ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে আবেগ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে ।

আমেরিকার সাম্প্রতিক নিগ্রো এবং প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলন চে-র ছবিকে নিজেদের নিশান করে নিয়েছে । এই ছাত্রদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । নাগরিক অধিকার রক্ষার এবং ভিয়েতনামে আক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বাধিক সংগ্রামশীল অভিব্যক্তিতে, চে-র ছবি হয়েছে সংগ্রামের প্রতীক । একটি মানুষ, একটি নাম একটি দৃষ্টান্ত এমন আবেগ উদ্বেলিত শক্তি নিয়ে বিশ্বময় এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে- ইতিহাসে যা খুব কমই গেছে । সম্ভবত এমন আর দেখা যায় নি । তাঁর কারন চে-র মধ্যে আন্তর্জাতিক মনন বিশুদ্ধতম এবং নিঃস্বার্থভাবে বাস্তব রূপ পেয়েছিল । যা আজকের দুনিয়ার বৈশিষ্ট্য, এবং আগামীদিনে যে চেতনা উত্তরোত্তর বাড়বে ।

( চে গুয়েভারার ডায়েরী থেকে… চলবে )

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে