আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পাওয়ায় বাংলা ভাষার গৌরব ও ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপি ছড়িয়েছে। কিন্তু বিশ্বায়নের বাস্তবতায় দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক এমনকি মাতৃভাষা বাংলাও হুমকির মুখে। তাই দেশের প্রতিটি জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষা রক্ষায় কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, এখন পর্যন্ত এইটুকুই আশার কথা।

পৃথিবীতে এখন আছে প্রায় ছয় হাজার ভাষা। তার মধ্যে ১০০টি ভাষায় কথা বলে দুনিয়ার ৯৫ ভাগ মানুষ। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্র“য়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা দেওয়ায় বিশ্বের দরবারে বাংলার মর্যাদাপূর্ণ পরিচিতি বেড়েছে। ভাষা বিলুপ্ত হলে সেই ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জীবনাচার বা সংস্কৃতি হারিয়ে যায়। তাই দেশের সংখ্যায়  ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর ভাষা টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা হয়েছে।

অমর একুশের গর্বিত অধ্যায় জানতে আগ্রহী হওয়ায়, এই ভিনদেশীদেরকে শহীদ মিনারে নিয়ে এসেছেন এই চিকিৎসক। ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার কাজটি সহজ নয়। মধুপুরের মারাক লেটিসনের বয়স ৫৩। কৃষিকাজ ছেড়ে জীবিকার তাগিদে ৩০ বছর ধরে থাকেন রাজধানীর নর্দা এলাকায়। নিজের সন্তানরা ঢাকায় বেড়ে ওঠায় হারাচ্ছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি।

কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদরি এবং গারোসহ পাঁচটি ভাষায় প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের উদ্যোগ আছে। শুধু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর ভাষাই নয় আঞ্চলিক ভাষাও আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। শহুরে জীবনে প্রমিত বাংলা চর্চার চাপ একটি বড় কারণ। শুদ্ধ বাংলা চর্চায় সরকারী ২/১ টি উদ্যোগ আছে।  বেসরকারি পর্যায়ে শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ শেখানের উদ্যোগ একটু বেশি। এগুলোকে অপ্রতুল মনে করেন সংশ্লিষ্ট একজন শিক্ষক। চান আরও ব্যাপক আয়োজন।

তথ্য প্রযুক্তি জগতেও বাংলার ব্যবহারে সন্তুষ্ট নন সংশ্লিষ্টরা। বাংলা ফন্ট এর উন্নয়ন এবং কী বোর্ড এর ব্যবহার সবার উপযোগি না হওয়া নিয়ে আক্ষেপ আছে। নানা পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন দেশের ভাষা বৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখতে পারে।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে