প্রথমবারের মতো ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সকালে ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তারা। ইলিশ নিয়ে গবেষণায় এটি মাইলফলক বলছেন গবেষকেরা।
ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার উন্মোচিত হলো ইলিশের জীবনরহস্য। ইলিশের রেফারেন্স জিনোম প্রস্তুতকরণ, জিনোমিক ডেটাবেইজ স্থাপন এবং মোট জিনের সংখ্যা নির্ণয়ের গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের গবেষকেরা।
ইলিশের জিনোমে নিউক্লিওটাইড রয়েছে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার, যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ। পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন হলে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে সহজে, বলছেন গবেষদকদলের প্রধান।
গবেষকেরা জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গবেষণা শুরু করে ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডি-নোভো জিনোম অ্যাসেম্বলি প্রস্তুত হয় ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই। ওই বছরের ২৫ আগস্ট ইলিশের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স আন্তর্জাতিক জিনোম ডেটাবেইজ ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন- এনসিবিআইয়ে জমা দেয়া হয়। এ ছাড়া ইলিশের জিনোম বিষয়ে গবেষণালব্ধ ফল উপস্থাপন করা হয় ২টি আর্ন্তজাতিক সম্মেলনেও।
এদিকে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের উদ্যোগে ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচনের খবর প্রচার হওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট