বাণিজ্যিক ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দামে আমেরিকান ডলার বেঁচাকেনা হচ্ছে না। কয়েকদিনের মধ্যে খোলা বাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় হার উঠেছে ১২৪ থেকে ১২৭ টাকা। এদিকে, ডলার সঙ্কটের কারণে ব্যাংকগুলোতে এলসি খুলতে নানা জটিলতায় পড়ছেন আমদানিকারকরা। ডলারের দাম বেধে না দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদরা। গত দেড়বছর ধরে দেশের বাজারে আমেরিকান ডলারের বিনিময় হার বেশ চড়া। দাম নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ রপ্তানিকারকদের জন্য ব্যাংকে প্রতি ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে ১১১ টাকা।
প্রবাসীরা প্রনোদণাসহ পাবে ১১৩.৫০ টাকা। আর মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা ডলার কিনতে পারবে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিক্রি করবে ১১৭ টাকায়। কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে ডলার কেনাবেচা করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। দশ টাকা ব্যবধানে বেচাকেনা হচ্ছে খোলাবাজারে। এতে মানি একচেঞ্জে ডলার সঙ্কট বেড়েছে। নানা কারণে বেচাকেনা অনেক মানি এক্সচেঞ্জবন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান মানি একচেঞ্জ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক। এদিকে বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতিমোহাম্মদ হাতেম জানান, ডলার সঙ্কট ও বিনিময় হারে অস্থিরতার কারণে এলসি খুলতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমদানি-রপ্তানিকারকদের।
পলিসি এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজবলছেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমে যাওয়াসহ সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে আমেরিকান ডলার বাজারে অস্থিরতা কমছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। নির্ধারিত হারে ডলার বিনিময় না করার অভিযোগ পেলে, কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।