কয়েকদিনের ধোঁয়াশা কাটিয়ে আইএমএফ-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক একপ্রকার ফলপ্রসু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। যেসব বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে তা মেটাতে বাংলাদেশ সচেষ্ট বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে প্রথম কিস্তির অর্থ কিভাবে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশ তা দেখতে সফর করেছে আইএমএফ এর রিভিউ মিশন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় প্রতিনিধি দলটি বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংকে। যেখানে ছিলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আর ১৩ সদস্যর মিশনের নেতৃত্ব দেন রাহুল আনন্দ। প্রায় ১ ঘণ্টার বৈঠকে কথা হয় আইএমএফের শর্ত ও তা পূরণে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে। এরপর দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, মোটা দাগে আইএমেফের দেয়া ছয় শর্তের অধিকাংশই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। কিছুটা ঘাটতি আছে দু একটি বিষয়ে ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, মোটা দাগে তাদের ছটি কন্ডিশন ছিল। মিউচুয়্যাল এগ্রিমেন্ট ছিল যে, এই এরিয়াগুলো নিয়ে কাজ করবো। তার মধ্যে বেশ কয়েকটাই সফলতা পেয়েছি। দু’য়েকটা জায়গায় আমাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আমরা হয়তো পরিপূর্ণভাবে সফল হতে পারিনি। আই এফ এর শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত রিজার্ভ সংরক্ষণের চেয়ে এখনো বহুদূরে বাংলাদেশ। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশা, এতে সমস্যা হবে না ঋণের পরের কিস্তি পেতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, কম সফলতা অর্জন হয়েছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে রিজার্ভ নির্দিষ্ট যে পরিমাণ রাখার কথা সেটা আমরা পারিনি। আরেকটা হচ্ছে আমাদের ট্যাক্স রেভিনিউ কালেকশন যেটা এনবিআরের সঙ্গে লিংক। আমাদের ঋণের যে দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮১ মিলিয়ন ডলার সেটা আমরা আশা করি ডিসেম্বরের বোর্ড মিটিং শেষে হয়ত পাব। এসময়, বছর শেষে মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যের কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।