ছয় মাসের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ালো সরকার। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শিল্প কারখানার জন্য গ্যাসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ (বুধবার) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অপারেশন-১ শাখা বিভাগের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে আবাসিক, যানবাহনের সিএনজি ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।
শিল্পখাতে আগে গ্যাসের তিন ধরনের দাম ছিল। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম কম নেয়া হত। কিন্তু এবার সেই সুবিধা বন্ধ করে সব শিল্পের জন্য একই দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা দুই পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা; ছোট, বাণিজ্যিক ও ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বৃহৎশিল্পে ১১টাকা ৯৮ পয়সা, মাঝারি শিল্পে ১১টাকা ৭৮ পয়সা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আগের ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে সব শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা করেছে সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাড়তি এই দাম কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১.৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১০.৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১.৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫.৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এছাড়া আবাসিকে একচুলার দর ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিট প্রতি দর ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়।