পাবর্ত্য শান্তি চুক্তির ২৫’বছরেও পাহাড়ে থামেনি সংঘাত। দুই যুগের বেশি সময়ে হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার অভিযোগ আছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ছয়টি আঞ্চলিক সংগঠনের বিরোধও বাড়ছে। আদিবাসী নেতারা বলছেন, চু্ক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় পাহাড়ে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার জানান, পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৮ সালে জনসংহতি সমিতির প্রধান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তিবাহিনী চার দফায় আত্মসমর্পণ করে। তাদের একহাজার ৯৪৬ সদস্য ৮৭৪টি অস্ত্র জমা দেয়। চুক্তির মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান হয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। পরে জনসংহতি সমিতি ভেঙে নতুন সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) গঠন হয়। এরপর পাহাড়ে আরও চারটি আঞ্চলিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান, খাগড়াছড়িতে, মারমা ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এমএনপি) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টসহ (কেএনএফ) ছয়টি আঞ্চলিক সশস্ত্র দলে বিভক্ত। যাদের অন্তর্ঘাতে দুই যুগে অন্তত হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ২৫ বছরে সরকারে সাথে দুরত্ব বেড়েছে। সেই সাথে আঞ্চলিক সংগঠনের বিরোধে উত্তেজনা বাড়ছে। তবে নতুন প্রজন্ম পাহাড়ি বাঙালি সহাবস্থান চায়। তাই চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের সাথে সংলাপ জরুরি বলছেন তারা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং জানান, ২৫’বছরে চুক্তির প্রায় ষাট ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। এরপরও একটি গোষ্ঠী সংঘাতের পথে হাঁটছে। তবে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পাহাড় শান্ত। এদিকে, গত জুনে পাহাড়ে হানাহানি বন্ধে নতুন ৮৭টি দাবি নিয়ে একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেছে শান্তি চুক্তির বিরোধিতাকারী সংগঠন ইউপিডিএফ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে