৭৫০’টাকার পটাশ সার বিক্রি হচ্ছে ১৫০০’টাকায়। ১১০০’টাকার ইউরিয়া সারের জন্য গুণতে হচ্ছে ১৩০০’টাকা। তাতেও লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় মিলছে না কৃষি কাজের প্রয়োজনীয় এ’পণ্য। এমন পরিস্থিতির জন্য ডিলার সিন্ডিকেটকেই দুষছেন কৃষকরা। সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করলেও মিলছে না সমাধান। শুধু আশ্বাসেই দায় সারছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় ডাউয়াবাড়ী মধ্য তিস্তাচরে চাষাবাদ করে চলে সাইদুর রহমানের সংসার। তবে দৈনন্দিন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সার সংকটে। তিনি যেভাবে বলছিলেন, উচ্চমূল্যে সার ক্রয় করলে আমাদের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লস হচ্ছে।
উপজেলার অন্যান্য কৃষকও আছেন একই সংকটে। অভিযোগের তীর বিসিআইসি ডিলার সিন্ডিকেটের দিকে। সড়ক অবরোধ করেও মিলছে না এর সমাধান। এক কৃষক বলেন, সকাল থেকে লাইনে থেকেও সার পাননি। গত ৪ দিন ধরে একই অবস্থা। অন্য কৃষক জানান, ডিলাররা ১০০ বস্তার মধ্যে ৭০ বস্তা দোকানিদের কাছে বেশি লাভে বিক্রি করে। আর বাকি ৩০ বস্তা আমাদের দেয় এবং বলেন সার নাই। যদিও কৃষকদের ওপরই দোষ চাপালেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
হাতিবান্ধার লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুসাইন মো. এরশাদ জানান, উচ্চমূল্যে সার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যাবস্থা নিচ্ছি। কৃষকদের উৎসাহিত করছি, যাতে তারা ন্যায্য মূল্যে ডিলার পয়েন্টে গিয়ে সার ক্রয় করে।
লালমনিরহাট বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন দুলু বলেন, বিসিআইসিকেও উচ্চ মূল্যে সার বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এ’দিকে লালমনিরহাট হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই সার ব্যাবস্থাপনা আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা ব্যাবস্থা নিয়ে জরিমানা করেছি। অভিযোগ পেলে আমরা আবারও আইনত ব্যবস্থা নেব। নভেম্বরে বাফার গুদাম থেকে ৭৩০ টন ইউরিয়া, ৩৬৬ টন পিএসপি, ১০২ টন এমওপি এবং ২৬৬ টন ডিএপি সার উত্তোলন করেন হাতিবান্ধা উপজেলা ডিলাররা।