ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে চিংড়ি রপ্তানি প্রায় ৪০’ভাগ কমে গেছে। সেই সাথে কমেছে আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খুলনার চিংড়ি চাষীরা। গত বছরের তুলনায় কেজিতে ৩শ’ থেকে ৬শ’ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানালেন তারা। গত অর্থ বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ২শ’ ২১ কোটি মার্কির ডলার। তাই রপ্তানির পাশাপাশি দেশীয় বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিচ্ছে মৎস বিভাগ।
বিশ্ব বাজারে কদর আছে বাংলাদেশে উৎপাদিত চিংড়ির। গুণগত মানের কারণে আশির দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে চিংড়ির রপ্তানি ক্রমশ কমছে। মৎস চাষিরা বলছেন, করোনার কারণে চিংড়ি রপ্তানিতে ছিল মন্দা অবস্থা। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে চিংড়ি রপ্তানিতে আবারো মন্দা দেখা দিয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহজ শর্তে ঋণ চাইছেন। চিংড়ি চাষী সমিতি ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বলছে, বৈশ্বিক মন্দার কারণে চিংড়ি চাষ হুমকির মুখে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার আর ২০২১-২০২২ অর্থ বছর ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ২শ’ ২১কোটি মার্কির ডলার।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানালেন, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি কমলেও দেশের বাজারে ক্রেতা বেড়েছে বলে জানান, জেলা মৎস্য কর্মকতা জয়দেব পাল। প্রতিবছর ৪’হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে খুলনা জেলা থেকেই তিন হাজার কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি হয়।